Description
মুঘল রাজপরিবার এবং রাজপুত ঘরানার প্রতি বাঙালির আকর্ষণ চিরকালীন। সার্থক বাংলা উপন্যাসের যাত্রা শুরুই হয়েছিল বঙ্কিমের ‘দুর্গেশনন্দিনী’র মাধ্যমে। এরপরেও ‘রাজসিংহ’ তো বটেই, ‘কপালকুণ্ডলা’তেও ফুটে উঠেছে মুঘল রাজপরিবারের খণ্ডচিত্র। অবন ঠাকুরও যখন কথা দিয়ে ছবি এঁকেছেন তাঁর ‘রাজকাহিনী’ গ্রন্থে, তখনও প্রধান উপজীব্য বিষয়— রাজপুত ঘরানা।
ভারতবর্ষের মধ্যযুগের ইতিহাস থেকেই নিবেদিতার অন্যতম আগ্রহের বিষয় হয়ে উঠেছিল মুঘল সাম্রাজ্যের ঘটনাবলী। বিশেষ করে সেই সময়কালে এক মুসলমান বাদশাহের হিন্দু বিবাহ তাঁর মধ্যে সৃষ্টি করে অদম্য কৌতূহল। গবেষণা করতে শুরু করে দেন লেখিকা। প্রথমদিকে, গবেষণায় প্রধান বিষয় ছিল মুঘল সম্রাট আকবর এবং অম্বররাজ ভারমলকন্যা হরকাবাঈ বা হীরকুমারী।
এই সব নিয়ে চর্চা করতে করতেই আরও সামনে আসে ইতিহাসের এক ‘না-বলা অধ্যায়’। ইতিহাস বলে, সেই সময় বদকশানের শাহজাদীর সঙ্গে বিবাহ হয়েছিল মুঘল সম্রাট আকবরের ভাই মুহাম্মদ হাকিম মির্জার সঙ্গে। কিন্তু এই বদকশান কন্যার নাম লেখেনি ইতিহাস। লেখিকার কল্পনায় সে হয়ে উঠেছে রুবিয়া। অম্বরের যুবরাজ ভগবানদাসের সবচেয়ে ছোট ছেলে সোহালের নামও নেই ইতিহাসের পাতায়। সেই মুসলমান শাহজাদীর সঙ্গে রাজপুত রাজকুমার সোহালের প্রেমের ছবিই এঁকেছেন লেখিকা এই গ্রন্থে। ইতিহাসে যদিও এই সম্পর্কের স্থান নেই, কিন্তু পাঠকের মনের মণিকোঠাতে সোহাল-রুবিয়ার প্রেমকে বাঁচিয়ে রাখতে চান লেখিকা। তাঁদের প্রেমকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে উপন্যাস— এক ঐতিহাসিক প্রেমকথা— ইশক খুদাই।
Reviews
There are no reviews yet.