Description
ভারতীয় পপ সংগীতের অবিসংবাদিত সম্রাজ্ঞী ঊষা উত্থুপের কথা, তাঁর বিখ্যাত সব গান ‘রাজা হো’, ‘হরি ওম হরি’, ‘শান সে’, ‘কলকাতা কলকাতা’ সম্পর্কে অনেকেই জানেন, কিন্তু এই গ্রন্থে আবিষ্কৃত হয়েছে নিজের সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে থাকা এক নারী। আর এ কাহিনি শুধু ঊষা উত্থুপের একার নয়, এক প্রগতিশীল তামিল পরিবারের কথা যার ভিত্তি ছিল ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’। মাতৃকুল ও পিতৃকুল দুই তরফেই রয়েছে এই সংস্কৃতির পরিচয়। তামিলভাষী হওয়া সত্ত্বেও এদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী কলকাতার তিনি অগ্রদূত। কপালে বড় টিপের ওপর লেখা ‘ক’ তাঁর গৌরবের ফাজা। কলকাতা আর ঊষা একে অপরের অহংকারের অলংকার, যার বহিঃপ্রকাশ ওই টিপ। তাই যদি কোনও কারণে ঊষার কপালে ওই ‘ক’ লেখা টিপ না থাকে তা হলে কলকাতাবাসী চঞ্চল হয়ে জানতে চায় আজ “ক” লেখা টিপ নেই?’ ঊষা উত্থুপকে বোঝার জন্যে সমুদ্রের কাছাকাছি জীবনযাপনটা খুব জরুরি, যে সমুদ্র শেষে মহাসাগরে গিয়ে মেশে। তাঁর সংগীত সাগর আর মহাসাগরের মিলনের মতো। অসীম অনন্ত। যার কোনও নির্দিষ্ট সীমারেখা নেই। তাই বোধহয় ‘কুইন অফ পপ’-এর উপাধিপ্রাপ্ত ম্যাডোনাও ঊষার গান পছন্দ করতেন। শুধু ম্যাডোনাই নয় পশ্চিমি বহু গায়ক-গায়িকা ঊষার গানের ভক্ত। ঊষার মোহময়ী কণ্ঠের জাদু ছড়িয়েছে সারা পৃথিবীতেই। শুধু গানই নয়, তাঁর অন্তরের উচ্ছ্বাস ভারতীয় যুবসমাজকে প্রভাবিত করেছিল গভীরভাবে। ভাবনায় আধুনিক হয়ে মৌলিকতাকে বিসর্জন না দিয়েও যে পরম্পরাকে সম্মান করা যায়, তার প্রতীক তিনি। কাঞ্জিভরম শাড়ি, চুড়ি, সিঁদুর আর টিপে সুসজ্জিতা ঊষা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, অন্তরের আধুনিকতাই বেশি মনোগ্রাহী।
Reviews
There are no reviews yet.