Description
নিজের সুনিপুণ অঙ্গুলী কৌশিকীর কপোল, চিবুক, ও গ্রীবার রেখায় ধীরে ধীরে বুলিয়ে দিলেন ভাস্কর।
“তোমার ওই দুইটি সুন্দর চোখে শৃঙ্গার, লাস্য, শঙ্কা, প্রশ্রয়, সব অভিব্যক্তি যখন একের পর এক খেলা করে যাচ্ছে, তখন কি সেই খেলায় স্বরমালিকার সব কয়টি স্বরই ফুটে উঠছে না। নীরবে? এইভাবে তো তোমার চোখের ভাষাতেই ফুটে উঠছে রাগমালা। ধ্বনির প্রশ্ন উঠছে কোথায়, প্রেরণাময়ী?”
স্বেদাক্ত হয়ে উঠেছে কৌশিকী। এ কি আদৌ তার পরিচিত ভাস্কর-সম্রাট? কৌশিকীর দেহসৌষ্ঠবের প্রেরণায় রচিত অপরূপ ভাস্কর্যও কি ঠিক এইভাবেই ফুটে উঠবে স্বরমালিকা হয়ে?
শ্রীরঙ্গপত্তনম থেকে বিপদসঙ্কুল পথে, প্রভূত বিচিত্র, রহস্যময় ঘটনাবলীর মধ্যে একাকী গোপন রাজকার্যে কোদাগুর পথে যাত্রা করেছে নৃত্যাঙ্গনা কৌশিকী। গন্তব্যে কোন ভয়ংকর বিপদ প্রতীক্ষা করে আছে তার জন্য? কে সেই রহস্যময় পুরুষ, যে তার প্রতীক্ষায় রত, যার জাদুমন্ত্রে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয় ভাস্কর্যে?
সপ্তদশ শতাব্দীর দাক্ষিণাত্যে প্রবল রাজনৈতিক সংঘাত; দস্যু, গুপ্তচর ও গুপ্তঘাতক সঙ্কুল ভয়ংকর ঐতিহাসিক পটভূমি। এরই মধ্যে কাবেরী নদীর নির্জন তীরে, পাহাড়ী জঙ্গলের গভীরে, লোকচক্ষুর অন্তরালে ঘনিয়ে উঠলো স্বরবিভঙ্গের রহস্য। সঙ্গীত, নৃত্য-বিভঙ্গ, শূলর, বিশ্বাসঘাতকতা, অতিপ্রাকৃত রহস্য ও রোমাঞ্চকর ঘটনার আবর্তে
মিশে গিয়েছে দাক্ষিণাত্যের ইতিহাসের এক ভয়ংকর অধ্যায়ের কাহিনী।
Reviews
There are no reviews yet.