Description
সময় কাটানোর দ্বিতীয় পন্থা না থাকায় ম্যাগাজিনের পাতায় চোখ রাখলো শিউলি। উল্টে পাল্টে দেখতে দেখতে, একটা লেখায় চোখটা আটকে গেল। “নেতাজী সুভাসচন্দ্রের চোখে স্বামী বিবেকানন্দ”।লিখেছেন বাপ্পাদিত্য রায়চৌধুরী(শিক্ষক)।লেখকের নামটা দেখেই শিউরে উঠলো বুকের ভেতরটা। কে এই বাপ্পাদিত্য?সে নয় তো? কি সারনেম ছিল তার?শুধু রায়, না রায়চৌধুরী? ঠিক করে জানা হয়নি। পিসি বলেছিল রায়বাড়ির ছেলে। ব্যস,এই পর্যন্তই। এর বেশি জানার তাগিদ অনুভব করেনি কোনদিন। এখন অবশ্য নাম,পদবী সবকিছু টপকে ওর কাছে লোকটার একটাই পরিচয়,সে একজন―না,আর ভাবতে পারছে না।পুরোনো রোগটা চাড়া দিচ্ছে আবার।সমস্ত দেহ জুড়ে সেই বিশ্রী শিরশিরানি। যেন একটা লিকলিকে সাপ বুকের ওপর দিয়ে হিলবিল করে চলে বেড়াচ্ছে। তার নিঃশ্বাসের ফোঁস ফোঁস শব্দটা কানের ভেতর দিয়ে মগজে এসে ধাক্কা মারছে।শরীরের মধ্যে একটা প্রচণ্ড অস্বস্তি হচ্ছে।দুহাত দিয়ে রগদুটো চেপে ধরে যন্ত্রণা কমানোর চেষ্টা করল শিউলি। চোখ বন্ধকরে,বন্ধ করতে চাইল স্মৃতির দরজাটাকে।
কে এই বাপ্পাদিত্য?সে কি আবার ফিরে এল শিউলির জীবনে? জানতে হলে পড়ুন অদিতি ঘোষের গল্পসংকলন “স্বপ্নের ধ্বনিরা”
Reviews
There are no reviews yet.