Description
রুদ্রচণ্ডীর ভৈরব হলেন বাংলা কথাসাহিত্যে এক প্রবাদপ্রতিম সাহিত্যিক অবধূত। যিনি মরুতীর্থ হিংলাজ ও উদ্ধারণপুরের ঘাট লিখে রীতিমতো সাড়া জাগিয়েছিলেন। কৈশোর এবং যৌবনের সন্ধিক্ষণে লেখক সেই অবধূতের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে এসেছিলেন। তাঁর খুব কাছের মানুষ হয়ে বহু অকথিত কাহিনি ও অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী থেকে যা কিছু উপলব্ধি করেছিলেন তারই স্মৃতিচারণ করেছেন উপন্যাসের মতো করে। লেখক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় রহস্য ও গোয়েন্দা কাহিনির রচয়িতা হিসেবে সুপরিচিত হালেও কুড়ি বছর বয়স থেকেই প্রায় ভবঘুরে জীবনযাপন করেছেন। সেই সময়কালে গ্রামে গঞ্জে মাঠে ময়দানে মেলায় মেলায় ঘুরে যে সমস্ত সৎ-স আশ্রমিক ও গৃহী সাধক সাধিকার সংস্পর্শে এসেছেন তাদের কথাই অতি যত্নের সঙ্গে লিপিবদ্ধ করেছেন তাঁর ‘গুপ্ত সাধক-সাধিকার কাহিনিগুলির মধ্যে। সত্যিকারের সাধক-সাধিকার দর্শন পাওয়া এখন ভাগ্যের কথা। অধিকাংশেরই হাত প্রসারিত হয় ভিক্ষার প্রয়োজনে। কিন্তু লেখার বর্ণিত সাধক-সাধিকারা তার সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। এঁরা সুপরিচিত নন। ভারতের সাধক- সাধিকার তালিকায় এঁদের স্থান কখনও হবে না। লেখক বহতা পানি রমতা যোগী হয়ে সেই তাদেরই সংস্পর্শে এসে যে আশ্চর্য মধুরিমায় ভরে উঠেছেন পরিণত বয়সে সেকথাই লিখে রাখলেন স্মৃতিচারণে এই গ্রন্থের মাধ্যমে।
Reviews
There are no reviews yet.