Description
কানাডা প্রবাসী অরুন মিত্র নিজের শহর কলকাতায় ফিরে বাল্যবন্ধু উজ্জ্বলের মৃত্যুসংবাদের শোক সামলে ওঠার আগেই অদ্ভুত কিছু ঘটনাচক্রের সম্মুখিন হয়ে পরে। বিস্মিত অরুন জানতে পারে উজ্জ্বল তাকে দানপত্র করে একটি প্রাসাদ্যোপম বাড়ির মালিকানা দিয়ে গেছে সঙ্গে রেখে গেছে একটি চিঠি। চিঠির ছত্রে ছত্রে রহস্যের হাতছানি। উজ্জ্বল অরুণকে অনুরোধ করেছে বিশেষ একটা কাজ তাকে করে দিতে হবে। কিন্তু ঠিক কি ধরনের সাহায্য উজ্জ্বল আশা করছে সেটা জানতে হলে অরুণকে অবশ্যই পাড়ি দিতে হবে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে, অরুনের সদ্য মালিকানাধীন অট্টালিকায়। সদ্যমৃত বন্ধুর অন্তিম ইচ্ছা রক্ষা করতে অরুনকে হাজির হতে হয় মুর্শিদাবাদ জেলার নারায়ণপুর গ্রামে।
অরুনের নতুন পাওয়া সম্পত্তি রানীমহল একটি জরাজীর্ন পরিত্যক্ত প্রাসাদ। এলাকার মানুষজন ভয়ে ত্রাসে জায়গাটাকে এড়িয়ে চলতেই পছন্দ করে, জনশ্রুতি আছে এই বাড়িতে যে পা রাখে সে নাকি জ্যান্ত ফিরত আসে না। এই বাড়ির একটি ঘরের দেয়াল সিন্দুকে সযত্নে রক্ষিত রয়েছে উজ্জ্বলের লেখা আরেকটি চিঠি, দ্বিতীয় এই চিঠি জোড়া শুধুই এলোমেলো সংকেত আর দুর্বোধ্য ধাঁধা। ধাঁধার উত্তর খুঁজে বের করতে পারলে তবেই অরুনের হাতে আসবে উজ্জ্বলের তৃতীয় চিঠি। জটিল এই ধাঁধার সমাধান করার আগেই দেশজুড়ে শুরু হল লকডাউন। করোনা রোগী সন্দেহে অরুণকে আটক করা হল রানীমহলের অন্দরে। অরুন কি পারবে উজ্জ্বলের ধাঁধার উত্তর খুঁজে রহস্যের নিস্পত্তি করতে? নাকি রানীমহলের অন্দরে কোন ভয়ংকর জীবের হাতে প্রাণ খোয়ানোটাই হবে তার চূড়ান্ত পরিণতি! মৃত্যুপথযাত্রী উজ্জ্বলের শেষ ইচ্ছের সঙ্গে ইতিমধ্যে আস্টেপৃষ্টে জড়িয়ে গেছে অরুনের বাঁচামরার প্রশ্ন। শেষ পর্যন্ত অরুন কি রানীমহল থেকে বেঁচে ফিরত আসতে পারবে? উজ্জ্বলের শেষ ইচ্ছেই বা কি ছিল? প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আপনাকে অরুনের সহযাত্রী হয়ে ঘুরে আসতেই হবে রানীমহলের নারকীয় অভ্যন্তর থেকে।
Reviews
There are no reviews yet.