Description
আলো সত্যিই রহস্যময়ী। যার প্রকাশ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে বহু কবি, সাহিত্যিকের লেখাতে স্থান পেয়েছে। আবার অন্যদিকে বিজ্ঞানীদের মধ্যে নিউটন, হাইগিন্স, টমাস ইয়ং, ম্যাক্সওয়েল, আইনস্টাইনের মত বিখ্যাত বিজ্ঞানীরা আলোর স্বরূপের রহস্য ভেদ করার সফল প্রয়াস করেছেন। আলোর উপর মৌলিক ও ফলিত গবেষণা জোর কদমে চলার ফলে বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি আলোর তত্ত্বের উপর নির্ভর করে বিজ্ঞানের নুতন শাখা তৈরী হয়। যা ফোটোনিকস নামে পরিচিত হয়।
ফোটোনিকস বিদ্যার উদ্ভব ও প্রসার, ইলেকট্রনিক বিদ্যার উত্তরসুরী রূপে ব্যাপক বিস্তার লাভ করছে। যা ফলিত বিজ্ঞান ছাড়াও মৌলিক গবেষণায় বিরাট প্রভাব ফেলছে। যার বাস্তব জীবনে বিপুল ব্যবহার হিসাবে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া বিগত দুই দশকে বেশ কয়েকটি পদার্থ বিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কার ফোটোনিকস বিদ্যা সম্বন্ধীয়। স্বাভাবিক ভাবেই বাংলায় বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে পাঠকদের মধ্যে ফোটোনিকস বিষয়ে জানার আগ্রহ প্রচন্ডভাবে দেখা যাচ্ছে। যা বাংলায় বিজ্ঞান মনস্ক মানুষদের কাছে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
আবার আমার পূর্ব কর্মক্ষেত্র ভিইসিসি (VECC) তে কাজ করার সুযোগ হয়। যেখানে হাই এনার্জী ফিজিক্স এর আন্তর্জাতিক পরীক্ষায় নিউক্লিয়ার ডিটেকটার সমষ্টি গঠনে আলোকপ্ৰভ অপটিকাল ফাইবার ব্যবহার করার দরকার হয়।
আবার অন্যভাবে নিউক্লিয়ার ডিটেকটার রূপে অসংখ্য ক্ষুদ্র গ্যাস আয়নিত কক্ষ সমষ্টিও ব্যবহার হয়। যেখানে বিদ্যুৎ ক্ষরণ বা স্পার্ক ও তড়িৎ চৌম্বকীয় অপস্বর বিষয়ে অনুসন্ধান করার দরকার হয়। এছাড়া অপটোকাপলার, অপটোইলেকট্রিকাল ট্রান্সফরমার, অপটিকাল মাইক্রোফোন, অপটিকাল অ্যামপ্লিফায়ার জন্য ফোটোনিকসের ব্যবহার ও কিছু জ্ঞানের দরকার হয়েছিল।
এই সমস্ত অভিজ্ঞতা ও পুর্বে উল্লেখিত অবস্থার পরিপেক্ষিতে বাংলায় সহজবোধ্য ফোটোনিকস এর উপর বই লেখার বিষয়ে অনেকে আমাকে উদ্বুদ্ধ করেন। তাছাড়া আমিও এর প্রয়োজনীয়তা খুব অনুভব করি। এছাড়া আমার অবসরপূর্ব সহকর্মী।
গণের সঙ্গে বিভিন্ন ফলপ্রসু আলোচনা, পরামর্শ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় এই বই লিখতে সাহায্য করেছে।
এই বইয়ের লেখার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুচিন্তিত মতামত দেওয়ার ব্যাপারে বোস ইনস্টিটিউটের দুই অধ্যাপক ড: সুপ্রিয় দাস ও ড: সৈকত বিশ্বাস এর নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখ যোগ্য। এছাড়া আলোচ্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যথা যোগাযোগ ব্যবস্থা ও কম্পিউটার প্রযুক্তি বিষয়ে সুচিন্তিত মতামত দেওয়ার ব্যাপারে প্রথমে পূর্বতন রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের প্রাক্তন বরিষ্ট ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার ও আমার মেজদা শ্রী বিজন দত্ত মজুমদার এবং ড: সুবােধ কুমার দত্ত, যিনি বিজ্ঞান, প্রযুক্তির শিক্ষাক্ষেত্র এবং শিল্প উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত, তাদের মতামত ও পরামর্শ বিশেষভাবে উল্লেখ যোগ্য।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ব্যবহার সহজভাবে বলার জন্য অগ্রজ প্রতিম মেকনের (MECON) এর প্রাক্তন বরিষ্ট স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার শ্রী ভাস্কর মিত্র এবং খড়গপুর কলেজের কেমিস্ট্রি বিভাগের প্রধান, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অমিতাভ দত্ত মজুমদার, এদের সুচিন্তিত মতামত ও শুভেচ্ছা বিশেষভাবে উল্লেখ যোগ্য।
ফোটোনিকস নিয়ে এরকমই কিছু আশ্চর্যের তথ্য নিয়ে আসছে মিহির রঞ্জন দত্ত মজুমদার এর ‘ফোটোনিকস তত্ত্ব ও প্রয়োগ
Reviews
There are no reviews yet.