Description
ঘরে-বাইরে বিধ্বস্ত একজন মানুষের কাহিনি- পাউড়। আর মানুষের যে রকম থাকে তার কোনো সামাজিক নাম নেই। সে একজন নির্ভেজাল ‘তুমি’। বৃত্তি-জীবনে স্কুল-মাস্টার। বিবাহিত। একদিন আবিষ্কৃত হয় কোনোদিনও বাবা হতে পারবে না সে। রোগটার নাম- অ্যাজোস্পার্মিয়া। দাম্পত্যজীবন এতে করে ছারখার প্রায়। নিঃসঙ্গ হতে হতে সে এখন পরিপূর্ণ একা। পুরোনো রোমান্সের আকস্মিক দুর্ঘটনায় বিব্রত। একটা অপরাধবোধ ভিতরে ভিতরে কুরে খায় তাকে। বিস্টুকাকার প্রতি অবশ্য পালনীয় কর্তব্য ভুলে যায় সে। অথচ তার জীবন জুড়ে মৃত মা ও বুড়ি ঠাম্মার স্নেহ, কদমের বন্ধুতা। সুন্দরবনের লোকজীবন, সংস্কৃতি, স্মৃতি ও বর্তমান এ কাহিনির অনিবার্য প্রেক্ষাপট। দমদমের ছোট্ট ফ্ল্যাটে নিষ্ঠুর নাগরিক জীবনে অবশ্যত হাঁপিয়ে ওঠে সে। নিরুপায় অথচ দিশাহারা। জীবনের না পাওয়া একটি স্বপ্ন অল্পের জন্য অধরা থেকে যায় তার। স্ত্রী সীমা খুঁজে নেয় বিকল্পযাপন। ‘তুমি’ এখন কবিতা লেখে না। গদ্য লেখে। জীবন যুদ্ধে সে কী তবে সম্পূর্ণ পর্যুদস্ত? যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যাবে সে? যেমন একজন পাউড় যায়? হেরে যাওয়া রক্তাক্ত মোরগ। চুন- হলুদে বেঁচে উঠবে কি সে? মধ্যম পুরুষে লেখা গোটা একটা উপন্যাস, বাংলা ভাষায় সম্ভবত এই প্রথম।
Reviews
There are no reviews yet.