Description
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বিজ্ঞানের শক্তি আর তার অপব্যবহার দেখে জনৈক পাশ্চাত্য মনীষী বলেছিলেন-এরপর মানুষ আর মানুষ থাকবে না, ‘সুন্দর মুখ আর কুৎসিত হৃদয়’ নিয়ে মনুষ্যরূপধারী হিংস্র-দানব পশুরাই সংসার অরন্যে দাপাদাপি করে বেড়াবে। বর্তমানে আমরা সমাজের চতুর্দিকেও সর্বক্ষেত্রে ঐ তান্ডবের দৃশ্যই দেখছি। দেখছি, অসুস্থমানবমনের নগ্নরূপ কী বীভৎস!কী ভয়ঙ্কর তার দানবীয় প্রকাশ!দয়া-মায়া-ক্ষমা-করুণা, স্নেহ-প্রীতি-ভালোবাসা, ত্যাগ-পবিত্রতা-সংযম, সরলতা-ধৈর্য-অধ্যবসায় প্রভৃতি দৈবীগুণগুলি মানুষের হৃদয় হতে আজ প্রায় লুপ্ত, বিসর্জিত হতে চলেছে। এগুলো আজ যেন কেবলমাত্র কথার কথা, আভিধানিক শব্দরূপে পর্য্যবসিত। মানুষ এখন বিকারগ্রস্থ-দুর্বল, রুগ্ন। তাই সে নিজেকে সংযত রাখতে পারছে না।ছুটছে কাম-কাঞ্চনের পেছনে। মদগর্বিত মানুষ, অহংকারী মানুষ আজ মোহান্ধ।যুগে যুগে ঋষিমহাপুরুষেরা রুগ্ন মানবাত্মার একমাত্র মহৌষধিরূপে নির্দেশ করেছেন সাধুসঙ্গ না সৎসঙ্গকে-‘সতাং সঙ্গো হি ভেষজম্’। যুগাবতার শ্রীরামকৃষ্ণদেব সংসারীদের উপায় হিসেবে বার বার বলেছেন-‘সাধুসঙ্গ ও সদসৎ বিচার’। এককথায় সৎসঙ্গ।শাস্ত্র বলেছে, মানবমনের অজ্ঞান অন্ধত্ব ঘোচাতে পারে একমাত্র এই সাধুসঙ্গ ও বিবেক নামক মানবাত্মার দুটি নির্মল চক্ষু।
এখন প্রশ্ন, বর্তমান সমস্যাসঙ্কুল ব্যস্ততাময় জনজীবনে সাধুসঙ্গ কোথায় পাব? সৎসঙ্গ কি-ভাবে করব? সাধুসঙ্গ বলতে কি বোঝায়? সৎসঙ্গে কি উপকার হয়? ইত্যাদি হাজারো প্রশ্ন জাগে। বর্তমান গ্রন্থটি ওই সকল প্রশ্নের উত্তরদান কল্পে রচিত না হলেও তা কিঞ্চিৎ দিতে সমর্থ হবে বলেই বিশ্বাস।
Reviews
There are no reviews yet.