Description
কাহানিয়া ঘোড়াটাপুর তপোবন কমলাসোল নারদা- নিখুঁই জঙ্গলমহাল। সেখানে বসবাসকারী লোধাশবররা। রাইবু , গুরভা , গুড়গুড়িয়া , ভুবনা , সোমবারি ফুলটুসি শিশুবালা জটালোধার বউবুড়িরা। জঙ্গল যাদের ধাত্রীদেবতা , জননী , অন্নদাত্রী। অরণ্যের অধিকার যাদের জন্মগত। তাদেরই জীবন আখ্যান ‘ শবরপুরাণ ‘।
সুধন্য গ্রামের ছেলে , ইরিনা শহরের দৈবাৎ বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হয় তারা। তদনন্তর কলহের সূত্রপাত। “ মাদার এক্সপায়ার্ড কাম সুন- ” । মায়ের পারলৌকিক কাজে সুধন্যর সস্ত্রীক গ্রামে আসা সুধনার আসল না নকল মা নিয়ে অতঃপর এক টানাপোড়েন , বিরোধ। “ বিরোধটা দেশের সঙ্গে বিদেশের নয় , বিরোধটা গ্রামের সঙ্গে নগরের… ” যেন বা ইল্যুশান অ্যান্ড রিয়েলিটির দ্বৈরথ। স্যুররিয়ালিস্টিক আবহে গাঁথা এক অভিনব উপন্যাস ‘ ইরিনা এবং সুধনারা’।
‘ হলুদ বনের টুসু ’ নিটোল একটি গাথা। টুসুপরব উপলক্ষে “ ৩০ টা দিন ৩০ টা রাত যাদের সঙ্গে একত্রে কাটিয়েছি – যাদের কেউ কেউ এতদিনে চরিত্রের বিশ্বাসঘাতকতায় চরিত্রহীনতায় খন হয়ে গেছে শ্বশুরঘরে , কেউ কেউ বিয়ের আগেই ‘ করবলী গাছের বীচি ’ খেয়ে মরেছে বাপের ঘরে , কেউ কেউ মরেছে এমনি এমনি – অসুখে না খেতে পেয়ে , আর যারা এখনো বেঁচে আছে , যাদের স্মরণে – প্রাত্যহিকতায় পিত্রালয়ে পুনরাগমনে আমার স্মৃতি এখনো ঝলসে ওঠে ।
‘ নাকফুল ’ কোনো অর্থেই ঝুটো নাকছাবি নয় । রীতিমতো আসল গহনা । রাঙ ঝাল , খাদ মিশিয়ে নয় । দেশজ মিথ , কথা , উপকথার কাঁচা সোনা নিয়ে । ছাগলচরানী মুনকু , গোরুবাগাল মহেন , ইস্কুল পড়ুয়া শশধর , গোপাল গুণিনের যেন আরেক “ পথের পাঁচালী ”।
“ এতদিন বাদে একটা স্বপ্ন দেখেই ঘুমটা ভেঙে গেল ঈশ্বরের । আর স্বপ্নটাও বড় অদ্ভুত । ফুলকুসুমা গ্রামের ঈশ্বর আর সৃষ্টি – স্থিতি – প্রলয়ের আশ্রয় , জগৎ বিস্তৃতির প্রসবিতা , ব্রহ্মপুরুষ ঈশ্বর যে এক , অভিন্ন – এতবড় ভুল ধারণা , কিংবা এতবড় দুরাশা অন্যে যে করে করুক , ফুলকুসুমার ঈশ্বর বেহেরা কখনো করত না । তবু কিনা আজ , এই আষাঢ় মাসের শেষাশেষি এমন একটা মেঘমেদুর রাতের শেষভাগে জলো – হাওয়ার অনুষঙ্গে , নাকি অন্য কোনো কিছুর প্রভাবে অনুরূপ একটা স্বপ্নই দেখে ফেলে ঘুম থেকে তড়াক করে উঠে বসল ঈশ্বর । ” তারপরই শুরু হল তার ‘ আদ্দাস ‘ নিয়ে অনন্ত অভিযাত্রা । মর্মস্পর্শী চূড়াস্পর্শী এক আখ্যান ‘ ঈশ্বর কবে আসবে।
এই পাঁচ নিয়েই ‘ পাঞ্চালী ।
Reviews
There are no reviews yet.