₹250Original price was: ₹250.₹225Current price is: ₹225.
“অম্বুবাচী চলাকালীন মা ধরিত্রী নাকি ঋতুমতী হয়ে থাকেন। আর এই সময়েই দেবীমূর্তির মুখ কাপড়ে ঢেকে উৎসব পালিত হয়। কিন্তু যেই নারীরা ঋতুমতী হতে পারেন না, তাঁরা সন্তান ধারণে অক্ষম হয়ে থাকেন। তাহলে রজঃস্বলা নারীদের অপবিত্র বলে ধরে নেওয়া হবে কেন? এই সময় কেন তাঁরা কোনো শুভ কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না? নারীরা ঋতুমতী হলে তবেই তাঁরা সৃষ্টিসুখের আনন্দ পেতে পারেন। তবে এই বিশেষ সময়ে কেন তাঁদেরকে সমস্ত শুভ কাজ থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হবে?” ……….মাধুরী নামের এক সামান্য নারীর মুখ থেকে এমন গভীর সত্য শুনে বণিক শ্রেষ্ঠ চাঁদ সওদাগর আপ্লুত হলেন। এবং ঋতুকালে নারী জাতির উপর এমন অত্যাচারীসুলভ আচরণে তিনি লজ্জিত হলেন। যে নারী এমন গভীর উপলব্ধি করতে পারেন এবং জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ডে অক্ষত হয়ে ফিরে আসতে পারেন, তিনি তো সাধারণ নারী নন। অবশেষে চাঁদ সদাগর নিজের স্ত্রী মাধুরীর দেবীত্ব সম্পর্কে অবহিত হলেন। এবং ভক্তিভরে নিজের স্ত্রীকে পূজা দিলেন। এই মাধুরীই ‘নেতাধোপানি দেবী’ রূপে নিজের প্রতিষ্ঠা পেলেন। শুরু হলো বিশেষ পদ্ধতিতে এক অভাবনীয় উপায়ে তাঁর পূজা প্রচার। কিন্তু কী সেই বিশেষ পূজা পদ্ধতি? কি ই বা নেতাধোপানির দেবীত্ব অর্জনের পিছনের ঘটনাবহুল পৌরাণিক বিবরণ? কে এই মাধুরী? কিভাবেই বা সে “মনসামঙ্গল” খ্যাত বণিকশ্রেষ্ঠ চাঁদসদাগরের সাথে পৌরাণিক আখ্যানে জড়িয়ে পড়ে? এ সবেরই উত্তর দেবে নবীন সাহিত্যিক ডঃ শীর্ষেন্দু মুখার্জির লালমাটি প্রকাশন থেকে প্রকাশিত পৌরাণিক উপন্যাস “নেতাধোপানি চরিতমঙ্গল”।
Reviews
There are no reviews yet.