Description
অনন্ত যাত্রাপথ। জীবনের। কখনও শঙ্খিল আবর্তে তা পথ হারায়, কখনও আবার উপলব্যথিত পন্থা অতিক্রম করে খুঁজে পায় মূল সুর। জীবনের এই উচ্চাবচ পথের যাত্রিক অমিতাভ। এ উপন্যাসে সে একজন শিল্পী, যার জীবন থেকে হারিয়ে গেছে রঙ, রেখা, সুর। তবু ‘অমিতাভ’ নামটি শুনলেই মনে পড়ে আড়াই হাজার বছর আগেকার অন্য এক অভিযাত্রীর কথা। সেই ধরিত্রীখ্যাত মহামানব অমিতাভর এক তির্যক ছায়া যেন এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র অমিতাভ। অমিতাভ নিজেকে খুঁজছে। জীবনের মধ্যে। শিল্পের মধ্যে। পাচ্ছে না। খুঁজতে খুঁজতে চলেছে মাণিক্যহার গ্রামে। জগন্নাথধাম পুরীতে। কুরান্ডিতে। অরণ্যমায়া-পরিবৃত অবুঝমারে। এই স্থান-নামগুলি আসলে প্রতীকী। এসব স্থানের আড়ালে অবস্থান করছে আশ্চর্য সব চরিত্র। সুভাষজ্যাঠা, মালতী, দীনবন্ধু প্রতিহারী, মনোহর অবধূত, বলি ভাতরা। এই সব চরিত্রগুলি আসলে অমিতাভরই সত্তার একেকটি নিভৃত প্রকোষ্ঠ। এই সব প্রকোষ্ঠগুলির দুয়ার, বাতায়ন খোলার শব্দ কান পাতলেই শোনা যায়। মনে পড়ে সেন্ট তেরিসা অব আভিলার ইনার কাসল গ্রন্থের কথা।
নয়নপথগামী
সায়ন্তন ঠাকুর
Reviews
There are no reviews yet.