₹60Original price was: ₹60.₹54Current price is: ₹54.
নারায়ণ সান্যাল জীবনে প্রথমবার দার্জিলিং বেড়াতে গিয়েছিলেন ১৯৫১ সালের অক্টোবর মাসে। ৯ অক্টোবর, মহানবমীতে কলকাতা থেকে রওনা দিয়ে দিন পনেরো ছুটি কাটিয়ে আসেন দার্জিলিং পাহাড়ে। ঠিক আগের বছর অর্থাৎ ১৯৫০-এর ১৭ মে লেখকের বিবাহ হয়। সেই হিসেবে এই দার্জিলিং যাত্রাকে কেউ মধুচন্দ্রিমা মনে করলেও, লেখকের ডায়েরিতে দেখা যায়, দার্জিলিং রোনা দেবার মাসখানেক আগে একবার সস্ত্রীক পুরী ঘুরে এসেছিলেন তিনি। সে-বারও সঙ্গে রবি এবং ভৃত্য মেঘু। দার্জিলিংযত্রায় লেখকের সঙ্গী হয়েছিলেন স্ত্রী, শ্রীমতী সবিতা সান্যাল; মা, শ্রীমতী বসন্তলতা সান্যাল; ফুলদি, শ্রীমতী ইন্দিরা মৈত্র, ভগ্নীপতি, শ্রীচণ্ডিদাস মৈত্র, তাঁদের কন্যা টুকুন (শ্রীমতি চন্দ্রা) ও পুত্র মুকুল; লেখকের ভ্রাতুষ্পুত্র, শ্রীচন্দন সান্যালঃ ভ্রাতুষ্পুত্রী শুভা এবং ভৃত্য মেঘু। এঁদের মধ্যে ফুলদি, ভগ্নীপতি এবং ভাগ্নে-ভাগ্নি হলেন সাঁতরাগাছির বাসিন্দা। লেখকের মা এবং চন্দন কৃষ্ণনগরের অধিবাসী এবং সস্ত্রীক লেখক এবং মেঘু হল মেদিনীপুরের।
‘মেঘলোকের দেশে’ –র পাণ্ডুলিপিটি পাওয়া যায় লেখকের মৃত্যুর পর। এটি খুঁজে বার করবার কৃতিত্ব লেখকের একমাত্র জীবনীকার প্রদীপ দত্ত এবং কনিষ্ঠ জামাতা সৌমিত্র তালুকদারের। সুন্দর করে কাটা প্ররষ্ঠার একদিকে পরিস্কার হস্তাক্ষরে লিখে পাতাগুলি বইয়ের আকারে সাজিয়ে সেলাই করে রেখেছিলেন সম্ভবত লেখক নিজেই। মূল লেখা শুরু হওয়ার আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পত্রোত্ত্র কবিতার প্রথম তিনটি অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করেছিলেন আলাদা পৃষ্ঠায়।
মনে রাখতে হবে, লেখকের রচিত প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ ‘মুশকিল আসান’ প্রকাশিত হয় ১৯৫৫ সালে এবং জানা যায় যে ‘মুশকিল আসান’-এর রচনাকাল ওই ১৯৫৫ সালেই। সে-ক্ষেত্রে ‘মেঘলোকের দেশে’ যে আরও প্রাচঈন তা বলাই বাহুল্য।
Reviews
There are no reviews yet.