Description
১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্টের আগে তাঁর নাম উচ্চারণ করা দণ্ডনীয় অপরাধ ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে করা প্রথম মামলাই (মেদিনীপুরে) বাংলা দেশে বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে ইংরেজ সরকারের করা প্রথম রাজদ্রোহের মামলা। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার প্রথম সাজাপ্রাপ্ত শহীদ। তাঁর বলিদান বহু বীরের জন্ম দিয়েছিলো। The British newspaper, The Empire, wrote: “Khudiram Bose was executed this morning…It is alleged that he mounted the scaffold with his body erect. He was cheerful and smiling.” ক্ষুদিরামের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, ফাঁসির মঞ্চে আত্মবলিদান দিতে পারলে ভারতের ঘরে ঘরে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠবে। আর সেই আগুনেই পুড়ে ছাই হবে অত্যাচারী ব্রিটিশের সাজানো সাম্রাজ্য। ফাঁসির মঞ্চে প্রহরীরা যখন তাঁকে নিয়ে যাচ্ছিল, দেখে মনে হয়েছিল যেন ক্ষুদিরাম ওই প্রহরীদের টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। হাঁসি মুখে মাথা উঁচু করে ফাঁসির দড়ি গলায় পরেছিলেন ক্ষুদিরাম। মুজাফ্ফরপুর থেকে অনেক দূরে কটক শহরে একটি ছোট্ট ছেলের মন আকুল হয়েছিল এই ঘটনায়। ১৯১১ সালের ১০ আগস্ট সেই ছেলেটি তাঁর স্কুলের (Ravenshaw Collegiate School) বন্ধুদের একটি প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবটি সংক্ষেপে এইরকম—‘‘আগামীকাল ১১ আগস্ট। এই দিনেই ক্ষুদিরাম ফাঁসির মঞ্চে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। এই দিনটি আমাদের জাতীয় শোকের দিন রূপে পালন করা উচিত। কাল আমরা সারাদিন অনশন করব।’’সমস্ত ছাত্রই তাঁর প্রস্তাবকে সমর্থন করেছিলেন এবং পরের দিন স্কুলের আবাসিক ছাত্ররা অনশন করে ক্ষুদিরামকে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। সেদিনের সেই ছোট্ট ছেলেটি ক্ষুদিরামের স্বপ্ন বুকে নিয়ে বড় হয়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে এক ঐতিহাসিক সংগ্রাম পরিচালনা করেছিলেন। তাঁর নাম নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস। শুধু নেতাজি নয়, ক্ষুদিরামের আত্মবলিদান সেদিন দেশের সমস্ত মানুষকেই অনুপ্রাণিত করেছিল। আদালতে কানাই বলেছিল- ‘‘ক্ষুদিরামের ভূত এসে আমাকে জেলের মধ্যে বন্দুক দিয়ে গেছে।’’…
Reviews
There are no reviews yet.