বই: কাউরীবুড়ির মন্দির
লেখক: অভীক সরকার
মুদ্রিত মূল্য: ২১০/-
প্রকাশনা: দেব সাহিত্য কুটির
লেখকের সাথে আমার প্রথম পরিচয় হয় সানডে সাসপেন্স -এর মাধ্যমে। সাধারণত আমার বিশেষ ভয় লাগে না আরশোলাকে ছাড়া। দিব্যি হরর মুভি দেখি, রাতে সানডে সাসপেন্স এ অনেক ভয়ের গল্পই শুনেছি। তবে যেদিন লেখকের গল্প শুনছিলাম, ভর দুপুরেই গা বেশ ছমছম করে উঠেছিলো। সেদিনই ঠিক করি, ওনার বই পড়তেই হবে। অবশেষে “কাউরীবুড়ির মন্দির” কিনে ফেললাম। ভূতের গল্পের বই পড়ার মজা পেতে হলে গভীর রাতই পারফেক্ট সময়। প্রায় তিনটে নাগাদ পড়া শুরু করি। কখন যে আমিও জঙ্গলের রাস্তায় হারিয়ে গেছিলাম, খেয়ালই করিনি। হঠাৎ দেখি জানলার বাইরে কাক ডেকে ওঠে, একসাথে দু তিনটে। ভোরের আলো ফুটবে ফুটবে করছে, রাতের অন্ধকারও কাটেনি। যারা বইটি পড়েছেন, তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, ওই সময় যদি হঠাৎ করে কাকের ডাকটাই শুনি তাহলে কি অবস্থা হতে পারে। গল্পের ঘোরে এমনই ডুবে গিয়েছিলাম,এক মুহূর্তের জন্যে মনে হচ্ছিলো, যে জঙ্গলের ভেতর কোনো আওয়াজ পৌঁছতে পারে না, সেখানে গাছের ডালে বসে লাল চোখে তাকিয়ে থাকা কাকগুলোই যেন আমার ঘরের জানলার সামনে ভিড় করেছে। যাই হোক। আবার পরের দিন মাঝরাতে পড়া শুরু করলাম। বলা যেতে পারে, এক গোগ্রাসে গিলে শেষ করেছি।
লোভ, কাম মানুষকে ঠিক কতদূর নিয়ে যেতে পারে এই বইটা পড়লে বোঝা যায়। গল্পের মাঝপথে এসে আপনি হয়তো অনেক কিছুই প্রেডিক্ট করতে পেরে গেছেন বলে মনে হতে পারে। কিন্তু টুইস্ট গুলো বেশ ভালো, প্রেডিকশন ভুল প্রমাণিত করবে। শুরু থেকে শেষ অবধি গল্পটা ভীষণই এনগেজিং। তবে মাঝে মাঝেই অভীকবাবু “কোথায় যেনো নামটা শুনেছি মনে পড়ছে না” এই কথাটা নানা রকম ভাবে বারংবার চরিত্রকে দিয়ে বলিয়েছেন, তার ফলে কিছুটা একঘেঁয়ে লেগেছে। গল্প শেষ হওয়ার পর কিছু প্রশ্ন মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।
১) ১৯৯০ সালে পুঁথি হাতে আসার পর ভবতারণ ওই সালেই গোলকপুষ্পের খোঁজে যান এবং মাধুরীর সাথে তার আলাপ হয়। এদিকে মাধুরীর হাজব্যান্ড ২০০৪ সালে মাধ্যমিক পাশ করেছেন। এটা কি করে সম্ভব?
২) পাতরগোঁয়্যাদের তন্ত্র সাধনা সবথেকে ভয়ঙ্কর এবং শক্তিশালী বলা হয়েছে। তবে মাধুরীর দিদা কিভাবে বারবার বিপদ থেকে বাঁচাতে সক্ষম হচ্ছিলেন?
প্রথমদিকে যে গতিতে এগোচ্ছিল, সেই তুলনায় গল্পটি যেন খুব তাড়াহুড়ো করেই শেষ হয়ে যায়। হ্যাঁ! ভয় লাগবে না ঠিকই, কিন্তু পড়ে ভীষণ ভালো লাগবে। একবারের জন্যেও বোর হবেন না।
আপনারা অবশ্যই জানাবেন, আপনাদের “কাউরীবুড়ির মন্দির” পড়ে কেমন লেগেছে।
Sruti Misra –
#পাঠ_প্রতিক্রিয়া
বই: কাউরীবুড়ির মন্দির
লেখক: অভীক সরকার
মুদ্রিত মূল্য: ২১০/-
প্রকাশনা: দেব সাহিত্য কুটির
লেখকের সাথে আমার প্রথম পরিচয় হয় সানডে সাসপেন্স -এর মাধ্যমে। সাধারণত আমার বিশেষ ভয় লাগে না আরশোলাকে ছাড়া। দিব্যি হরর মুভি দেখি, রাতে সানডে সাসপেন্স এ অনেক ভয়ের গল্পই শুনেছি। তবে যেদিন লেখকের গল্প শুনছিলাম, ভর দুপুরেই গা বেশ ছমছম করে উঠেছিলো। সেদিনই ঠিক করি, ওনার বই পড়তেই হবে। অবশেষে “কাউরীবুড়ির মন্দির” কিনে ফেললাম। ভূতের গল্পের বই পড়ার মজা পেতে হলে গভীর রাতই পারফেক্ট সময়। প্রায় তিনটে নাগাদ পড়া শুরু করি। কখন যে আমিও জঙ্গলের রাস্তায় হারিয়ে গেছিলাম, খেয়ালই করিনি। হঠাৎ দেখি জানলার বাইরে কাক ডেকে ওঠে, একসাথে দু তিনটে। ভোরের আলো ফুটবে ফুটবে করছে, রাতের অন্ধকারও কাটেনি। যারা বইটি পড়েছেন, তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, ওই সময় যদি হঠাৎ করে কাকের ডাকটাই শুনি তাহলে কি অবস্থা হতে পারে। গল্পের ঘোরে এমনই ডুবে গিয়েছিলাম,এক মুহূর্তের জন্যে মনে হচ্ছিলো, যে জঙ্গলের ভেতর কোনো আওয়াজ পৌঁছতে পারে না, সেখানে গাছের ডালে বসে লাল চোখে তাকিয়ে থাকা কাকগুলোই যেন আমার ঘরের জানলার সামনে ভিড় করেছে। যাই হোক। আবার পরের দিন মাঝরাতে পড়া শুরু করলাম। বলা যেতে পারে, এক গোগ্রাসে গিলে শেষ করেছি।
লোভ, কাম মানুষকে ঠিক কতদূর নিয়ে যেতে পারে এই বইটা পড়লে বোঝা যায়। গল্পের মাঝপথে এসে আপনি হয়তো অনেক কিছুই প্রেডিক্ট করতে পেরে গেছেন বলে মনে হতে পারে। কিন্তু টুইস্ট গুলো বেশ ভালো, প্রেডিকশন ভুল প্রমাণিত করবে। শুরু থেকে শেষ অবধি গল্পটা ভীষণই এনগেজিং। তবে মাঝে মাঝেই অভীকবাবু “কোথায় যেনো নামটা শুনেছি মনে পড়ছে না” এই কথাটা নানা রকম ভাবে বারংবার চরিত্রকে দিয়ে বলিয়েছেন, তার ফলে কিছুটা একঘেঁয়ে লেগেছে। গল্প শেষ হওয়ার পর কিছু প্রশ্ন মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।
১) ১৯৯০ সালে পুঁথি হাতে আসার পর ভবতারণ ওই সালেই গোলকপুষ্পের খোঁজে যান এবং মাধুরীর সাথে তার আলাপ হয়। এদিকে মাধুরীর হাজব্যান্ড ২০০৪ সালে মাধ্যমিক পাশ করেছেন। এটা কি করে সম্ভব?
২) পাতরগোঁয়্যাদের তন্ত্র সাধনা সবথেকে ভয়ঙ্কর এবং শক্তিশালী বলা হয়েছে। তবে মাধুরীর দিদা কিভাবে বারবার বিপদ থেকে বাঁচাতে সক্ষম হচ্ছিলেন?
প্রথমদিকে যে গতিতে এগোচ্ছিল, সেই তুলনায় গল্পটি যেন খুব তাড়াহুড়ো করেই শেষ হয়ে যায়। হ্যাঁ! ভয় লাগবে না ঠিকই, কিন্তু পড়ে ভীষণ ভালো লাগবে। একবারের জন্যেও বোর হবেন না।
আপনারা অবশ্যই জানাবেন, আপনাদের “কাউরীবুড়ির মন্দির” পড়ে কেমন লেগেছে।
বই পড়ুন। সাবধানে থাকুন। ধন্যবাদ ❤️