Description
মহামানব বুদ্ধের মহানিষ্ক্রমণের পরে বোধিলাভ এবং সংঘ প্রতিষ্ঠার পর কেটে গেছে আরও কিছুটা সময়। বসন্তকাল সমাগত। প্রকৃতি জুড়ে শুরু হয়েছে শাল ফুলের উৎসব।
রাজপুত্র সিদ্ধার্থের যৌবন কেটেছিল কপিলাবস্তু নগরে। কালুদায়ী এসেছিলেন শুদ্ধোদনের নির্দেশে, বুদ্ধকে একবার তাঁর পরিবারের কাছে নিয়ে যেতে, সে অনেক কাল আগে। তারপর নিজেই প্রব্রজ্যা নিয়ে বুদ্ধ-সংঘে প্রবেশ করেছেন। বুদ্ধ ছিলেন তাঁর ছোটবেলার খেলার সাথী। এক হিসেবে তিনি বুদ্ধের ভাইও। শুদ্ধোদন তাঁর পিতা। তিনি হলেন রাজবাড়ির দাসীপুত্র। কালুদায়ী জানেন বুদ্ধের দুর্নিবার প্রকৃতি প্রেমের কথা। এই তুষার ধবল সুমহান গিরিমালা, পুষ্পশোভিত অরণ্যভূমি এখন বসন্তে অপরূপা। এতদিন হয়ে গেল বুদ্ধ কি একবার যাবেন না সেই বনভূমির মনোহর সৌন্দর্য দেখতে? তাঁর ফেলে আসা কপিলাবস্তু নগরে?
তারপর বুদ্ধ সেখানে যাওয়ার পর ঘটে গেল অনেকগুলি ঘটনা। নন্দের প্রব্রজ্যালাভ করার পরেও তা সুখকর মনে হয়নি। দেবদহে বুদ্ধের অপমান ও বিরোধীতা করেছিলেন দণ্ডপাণি শাক্য। বুদ্ধ ঘোষণা করলেন, সাতদিনের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হবে।
প্রাচীন কপিলাবস্তু নগর। এই নগর বুদ্ধ একদিন পরিত্যাগ করেছিলেন, জীবের চিরকালের অনন্ত দুঃখ মোচন করবেন বলে। তারপর ছ-বছরের দুষ্কর তপস্যার শেষে লাভ করেছিলেন বোধি। বোধিলাভের এক বছর পর তিনি ফিরে এসেছিলেন আবার কপিলাবস্তুতে। তখন তিনি আর কপিলাবস্তুর রাজপুত্র সিদ্ধার্থ নন, বরং বৌদ্ধসংঘের সংঘ প্রধান, সর্বত্যাগী এক শ্রমণ। এইসময় বুদ্ধ কেবল করুণার প্রতিমূর্তি ছিলেন না। ধর্মের প্রচারে বাধাদানকারী দণ্ডপাণি শাকোর মৃত্যুর ঘোষণা করেছিলেন। দেবদহ ও কপিলাবস্তুর যুদ্ধ বন্ধ করেছিলেন একজন যথার্থ অভিজ্ঞজ্ঞ রাজনীতিবিদের মতো। সংঘের প্রতিটি ভিক্ষুর সঙ্গে তিনি মিশতেন বন্ধুর মতো, আবার কখনও প্রয়োজনে হয়ে উঠতেন তীব্র, সুকঠিন।
Reviews
There are no reviews yet.