Description
কী করে চেনা যাবে, কেন, ছায়া নেই যার। আর পায়ের গোড়ালি সামনের দিকে। মোবাইল ফোনে ডাক দেবেন তিনি, ইলিশ আর গলদা চিংড়ি ফেলে যা বাপ, নইলে তোর বিপদ হবে। গাঙের ভূত স্থলে এলে তার বড়ই অস্বস্তি। ছায়া জমে জমে কালো আইসক্রিম, আর সেই আইসক্রিম আসলে এক ভূত। ভূতের কত রকম আছে। দেখো গলে যায় না যেন। গলন্ত ছায়ার জন্য মন না খারাপ হয় তখন।
এই যে তুমি চলছ, ছায়াও চলছে, যখন দেখবে ছায়া নেই, তার মানে তুমিও নেই। তুমি নেই। মানে ছায়াই আছে। ছায়া জমে জমে কিছু একটা হয়। কী হয়, না বরফ। সেই বরফের রং কালো। রোদে সেই বরফ গলে যায়। তখন তাঁর মরণ। মানুষ যেমন মরে গিয়ে কালো বরফের কুণ্ডলী হয়ে যায়, সেই কুণ্ডলী আগুনে গলে রোদের ভিতরে গলে ফুরিয়ে গেলে ভূতেরও মরণ। এই বইয়ের ভূতের রাজ্যে মোবাইল ফোন চলে। ফোনে নির্দেশ আসে, ইলিশ জোড়া রেখে যা। তা শুনে ইলিশ রেখে এল বটে লোকটা কিন্তু তার বউ ছাড়বে কেন, ভূতের চোদ্দ পুরুষ উদ্ধার করে দিল সন্ধেবেলায় গালি দিয়ে। তারপর যা
হলো বলার নয়। রিকশাওয়ালা মধুদা দিনে দুপুরেও বুঝতে পারে তেনারা আছেন। তখন ফাঁকা রাস্তায় রিকশার হন মারতে হয়। আবার
একটি গাঁয়ে তেনারাই থাকেন শুধু। মানুষ তেনাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে চলে যায় গাঁ
ছেড়ে। বার্মা থেকে এসেছে এক বার্মিজ ভূত ভেংচি সে আবার দেশি ভূতদের ভূত বলে মনে করে না। কালো বরফের ভূতা বইয়ে বিস্ময়কর কটি ভূতের গল্প আছে। আছে আবার নেই। নেই
মানে আছে। তেনারা আছেন।
Reviews
There are no reviews yet.