Description
‘সবাই তো মানুষ, একই ঈশ্বরের সন্তান। ‘ঈশা বাস্যমিদং সর্বং যৎ কিঞ্চ জগত্যাং জগৎ’―এই গতিশীল বিশ্বে যা কিছু চলমান বস্তু আছে তা ঈশ্বরের বাসের নিমিত্ত মনে করবে―উপনিষদের এই বাণীতে তার পূর্ণ বিশ্বাস। মানুষ এই ‘যা কিছু’র বাইরে নয়। হোক সেই মানুষ হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ অথবা খ্রিস্টান। বামুন কায়েত শুদ্দুর ডোম মুচি মেথরও ঈশ্বরের কাছে সমান। তিনি প্রত্যেকের অন্তরে বাস করেন। হিন্দুর ঘরে মুসলমান ঢুকলে, মুসলমানের ঘরে হিন্দু ঢুকলে জাতধর্ম সব চলে যাবে―বাইরে প্রকাশ না করলেও মনে মনে ধর্মের এমন স্পর্শকাতরতাকে কখনোই গুরুত্ব দেননি। তাই বলে বাপ-দাদার ধর্ম ছেড়ে কেউ হিন্দু থেকে হুট করে মুসলমান হয়ে যাবে, এটা তিনি মানতে নারাজ। মানতে হয়ত পারতেন, যদি না হিন্দু হওয়ার অপরাধে তার বাবাকে খানসেনারা চুনকুড়ির হিম জলে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখত, কুকুর-বিড়ালের মতো গুলি করে যদি না তার বুকটা ঝাঁঝরা করে দিত।’
কালকেউটের সুখ মূলত বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িকতা, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নীরব দেশত্যাগ এবং কালকেউটের মতো বিষধর স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর উত্থানকেন্দ্রিক একটি সামাজিক ও রাজনৈতিক উপন্যাস। গরানপুরের পটভুমিকায় লেখক ধরেছেন সমগ্র বাংলাদেশের বাস্তবতা। শিল্পিত ভাষা ও আঙ্গিকে বাস্তবতাকে দিয়েছেন শিল্পরূপ।
বই- কালকেউটের সুখ (উপন্যাস)
লেখক- স্বকৃত নোমান
প্রকাশনা- অভিযান পাবলিশার্স
প্রচ্ছদ- পার্থপ্রতিম দাস
Reviews
There are no reviews yet.