Description
১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে রংপুর জেলার একটি মহকুমা রূপে জলপাইগুড়ির আত্মপ্রকাশ। যদিও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নথিতে জলপাইগুড়ি নামটির উল্লেখ প্রথম পাওয়া যায় ১৭৭৩-এ। ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি জলপাইগুড়ি জেলা গঠিত হয় পশ্চিম ডুয়ার্স ও বৈকুণ্ঠপুর রাজ এস্টেটকে মিলিয়ে। অর্থাৎ পৃথক জেলা হিসাবে তার বয়স হল দেড়শো বছর। ২০১৪ সালে এ জেলার আলিপুরদুয়ার মহকুমা আলাদা জেলার মর্যাদা পেয়েছে। এ পার ও পার দুই বাংলার বিভিন্ন জেলার ইতিহাস রচনার উদ্যোগ উনিশ শতকের মাঝামাঝি থেকেই দেখা গেলেও জলপাইগুড়ির সে সৌভাগ্য হয়নি। উমেশ শর্মার মতে, জেলার ভৌগোলিক রূপরেখার বার বার পরিবর্তন এর অন্যতম কারণ। বিতর্ক রয়েছে নামকরণ নিয়েও। জলপাই গাছের গুঁড়ি থেকেই এই নাম, নাকি এটি জল্পেশ মহাদেবের নামের সঙ্গে জড়িত? লেখকের মতে, ‘রাজমালা’ সূত্রে জানা যায়, জলপায়ি বা জলপলিয়া গোষ্ঠীর বসবাস ছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। জলপাইগুড়ি অঞ্চলেও তাঁদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। এই জনগোষ্ঠীর বাসস্থান হিসাবে ‘জলপাইগুড়ি’ নাম হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। লেখক প্রাচীন ইতিহাসের সূত্র ধরে এগিয়ে কামতাপুর হয়ে বৈকুণ্ঠপুরের রায়কত পরিবারের ইতিহাসে আধুনিক জলপাইগুড়ির স্থান নির্ণয় করেছেন। সমাজ সংস্কৃতি শিক্ষা শিল্প স্বাধীনতা সংগ্রাম কোনও প্রসঙ্গই বাদ দেননি তিনি। আছে জেলার কিছু পর্যটন ক্ষেত্রের বিস্তারিত বিবরণ। শেষে সংযোজিত হয়েছে বেশ কিছু দুর্লভ ও মূল্যবান নথিপত্র, সঙ্গে আছে অনেক ছবি। সব মিলিয়ে জেলার সামগ্রিক ইতিহাস প্রণয়নে প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
Reviews
There are no reviews yet.