Description
1930-1935 পর্যন্ত নাৎসী ঔদ্ধত্য ও অত্যাচার এবং 1935-1945 পর্যন্ত নাৎসী গণহত্যায় শেষ হয়ে যাওয়া অসংখ্য লক্ষ লক্ষ শিশু, নর-নারীর আত্মা অমর হয়ে থাকবে পৃথিবীর ইতিহাসে, পৃথিবীর আগত-অনাগত সব মানুষের মনে। কিন্তু পর্দার পেছনে আরও যারা ছিল তাদের মুখোশ খুলবে কে? আদৌ খোলা যাবে তো? না কি মানুষ নিধনের এই চক্রান্তের স্ক্রিপ্ট—অন্য চক্রান্তের শিকার হয়ে, হয়ে যাবে বাক্সবন্দী, চিরকালের জন্যে?
তবে আশা আছে। সত্তরের দশক থেকে বিদগ্ধ গবেষকরা প্রচুর পরিশ্রম করে, অনেক বাধাবিঘ্ন এমন কি প্রাণনাশের হুমকি উপেক্ষা করে বার করে চলেছেন প্রচুর তথ্য। যদিও নষ্ট করে দেয়া হয়েছে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথি ও প্রমাণপত্র। মেরে ফেলা হয়েছে অনেক সাক্ষীকে, বিচারের প্রহসনে মুখ খোলার আগেই জেলের ভেতর তাদের খাবারের সাথে দেয়া হয়েছে বিষ, হাতের মুঠোয় গুঁজে দেয়া হয়েছে সায়ানাইডের ট্যাবলেট, পয়েন্ট রেঞ্জ থেকে গুলি করে মেরে ফেলে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে প্রচার করা হয়েছে—‘আত্মদহনের কারণে আত্মহত্যা’। এর পেছনে চলেছিল মস্ত যোগসাজশ, মস্ত খেলা। এভাবেই নাৎসী-নিহত মানুষগুলিকে দ্বিতীয়বার মেরে ফেলা হয়েছিল অর্থাৎ সোজা ভাষায়—The victims were killed twice.
…….
প্রার্থনা করি,.পৃথিবীর নির্যাতিত প্রতিটি জাতিই তাদের যন্ত্রণার কথা সবাইকে জানবার সুযোগ পাক। রাজনীতির সূক্ষ্ম খেলায় কোন মানুষ, কোন জাতি অন্যায় ভাবে না ধ্বংস হয়ে যায়।
Reviews
There are no reviews yet.