Description
হরু ঠাকুর
সম্পাদক: শ্রুত্যানন্দ ডাকুয়া
২২০.০০, খোয়াবনামা
বাংলা কবিগানের সূচনা রাসু নৃসিংহ, গোঁজলা গুঁই, রঘুনাথ দাস প্রমুখের হাতে। এই রঘুনাথ দাস কবিওয়ালার কাছেই হরু ঠাকুরের কবিগানে দীক্ষা। আসল নাম হরেকৃষ্ণ দীর্ঘাড়ি (বা দীর্ঘাঙ্গী), বাস ছিল কলকাতার সিমলায়, বাবা কল্যাণচন্দ্র (মতান্তরে কালীচন্দ্র)। জন্ম আনুমানিক ১৭৪৯, মৃত্যু ১৮২৪। হরেকৃষ্ণ ছিলেন বৈদিক ব্রাহ্মণ, তাই তাঁর হরু ‘ঠাকুর’ নামে প্রসিদ্ধি। ছোটবেলায় পড়াশোনা বিশেষ না হলেও পরে তিনি যে ভক্তিরসের গান রচনা করেন সেখানে তাঁর তত্ত্বজ্ঞান ও পাণ্ডিত্যের পরিচয় মেলে। ঈশ্বর গুপ্তের মতে, ‘‘প্রধান প্রধান অধ্যাপক মহাশয়েরা তাঁহাকে অধ্যাপক শ্রেণীর মধ্যে গ্রাহ্য করিতেন।’’ কিন্তু তাঁর মৃত্যুর মাত্র তিন দশক পরে কবিওয়ালাদের জীবনী ও গান সংগ্রহ করতে গিয়ে ঈশ্বর গুপ্ত হরু ঠাকুর সম্পর্কে খুব সামান্য তথ্য ও ৪৫টি গান উদ্ধার করতে পেরেছিলেন, তাও সব পুরো গান নয়। মহারাজ নবকৃষ্ণ তাঁর প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন, তাঁর কথাতেই হরু ঠাকুর পেশাদার কবির দল গড়েন, আর তাঁর মৃত্যুর পর সে দল ভেঙে দেন। ঠনঠনের রামশঙ্কর ঘোষের বাড়িতেও তিনি বহু বার কবিগানের আসরে যোগ দেন। ভোলা ময়রা তাঁর প্রধান শিষ্য, ভবানী বেনে ও নীলু রামপ্রসাদও তাঁর দলেই ছিলেন, পরে সকলেই নতুন দল গড়েন। গত দেড়শো বছরে হরু ঠাকুর সম্পর্কে খুব নতুন কিছু আর জানা যায়নি। এ বার হরুর যাবতীয় গান, তাঁর সম্পর্কে ঈশ্বর গুপ্ত থেকে গোপালচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় সুশীল দে প্রফুল্লচন্দ্র পাল ভবতোষ দত্ত নিরঞ্জন চক্রবর্তী অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলোচনা, এবং শেষে শ্রীঅরবিন্দ-কৃত হরুর সাতটি গানের ইংরেজি অনুবাদ একত্রে গ্রন্থিত হল।
Reviews
There are no reviews yet.