Description
নন্দিতা বাগচীর সাড়াজাগানো উপন্যাস ‘পরিযায়ী’র পরবর্তী অধ্যায় ‘ফাউন্টেন অফ ইয়ুথের খোঁজে’।
রূপঙ্কর ও স্বস্তি কলকাতার পাট চুকিয়ে ফিরে এসেছে আমেরিকায়। বস্টনের উপকণ্ঠে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য নির্মিত একটা কন্ডোমিনিয়ামে থাকে তারা। রূপঙ্কর এখন ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত। ডাক্তারির খুঁটিনাটি তো ভুলেই গেছে সে, এমনকী স্ত্রী-পুত্রদেরও চিনতে পারে না। তার একমাত্র লক্ষ্য এখন ‘ফাউন্টেন অফ ইয়ুথ’।
তাদের বড় ছেলে তাতা থাকে ক্যালিফোর্নিয়ায়। একটা ইনফরমেশন টেকনোলজি কোম্পানির বড়কর্তা সে। ছোট ছেলে লালা থাকে ফিলাডেলফিয়ায়। আর্কিওলজিতে পিএইচডি করছে সে।
লালার গাইড রিচার্ড মিলারের একটি গবেষণার কাজে শ্রীলঙ্কায় আসতে হয় লালাকে। সিগিরিয়ার একশিলা পাহাড়ের ওপরে কাশ্যপা রাজার রাজত্বের ধ্বংসাবশেষ এবং অপ্সরাদের উন্মুক্ত পয়োধরের ফ্রেসকো মুগ্ধ করে লালাকে। কাজ শেষে সে কলকাতায় আসে তার পিসতুতো দাদা সম্বৃদ্ধ ও বউদি রাগিণীর সঙ্গে দেখা করতে। তার সঙ্গী হয় রাগিণীর মেয়ে ঋদ্ধি।
ক্ষণিকের অতিথি লালার যাপনচিত্রটিও পারম্পর্যে ভরে ওঠে তার বাবার পদানুগমন করে। অবৈধ সম্পর্কে জড়িত হওয়াই যেন ভবিতব্য তাদের।
আমেরিকার আনাচে-কানাচে ‘ফাউন্টেন অফ ইয়ুথ’কে খুঁজে বেড়ায় রূপঙ্কর তার ভ্রংশিত স্মৃতিকে সম্বল করে। ইতিহাস বলে, আলেকজান্ডার এবং স্পেনীয় আবিষ্কারকরাও তাকে খুঁজেছিলেন এক সময়ে। রূপঙ্করের ছোট ছেলে লালা কি তাকে খুঁজে পেল?
ইতিহাস- সম্পর্ক-প্রেম-ভালোবাসার এক অনবদ্য মিশেল ‘ফাউন্টেন অফ ইয়ুথ’।
Reviews
There are no reviews yet.