Description
বাবার এনে-দেওয়া ‘বিন্দুর ছেলে’ পড়ে কেঁদে ভাসায় বালক। ‘বিন্দুতেই সিন্ধু হয়ে রে…!’ বাবা মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। বালক বাবাকে প্রণাম করে। ‘প্রণত হওয়াই প্রণাম। প্রণামের সঞ্চিত-বিন্দু কী বল তো?’ ‘আশীর্বাদ?’ শুনে বাবা হাসেন। ‘হ্যাঁ, প্রণামী…।’
বড়দের প্রণাম করে বালক শোনে ‘বড় হও!’ একদিন ব্যতিক্রম, গোবিন্দ মন্দিরে শুনল, ‘বড় তো সবাই হয়, ছোট হ’ বাবা!’ বাবাকে জানাল সে-কথা। বাবা হাসলেন, ‘ঠিকই বলেছেন পূজারী। ছোট অর্থাৎ বিনয়ী ভবঃ! বড় হতে গেলে আগে ছোট হতে হয়।’ বড় লেখা ছোট হয়। মন্দিরের দেওয়ালে লেখা “হরে কৃষ্ণ…” রাতের অন্ধকারে হয়ে যায় ফুটকিহীন “হবে কৃষ্ণ…”!
মসজিদের রূপকার করিমচাচার ‘পাঠালয়’-এর আদ্যক্ষরের মাথায় চন্দ্রবিন্দু এঁকে দেয় কেউ। তরুণের মনে ‘জেহাদ’। পাড়ার দেওয়ালে ‘ভোট দিন’ লেখা ছেড়ে কাগজে লিখে ফেলে ‘একটি রূপকথার জন্ম’। কমিউনিজম ছেড়ে কমন-ইজম হয় ভালোবাসা। গিয়ে ‘অভিসার’-এ সিন্ধুতীরে ‘বিন্দু’টিরে চিনতে পারে, ‘হাসি-কান্না’র ভুবনই ‘কবির সঞ্চারপথ।’
Reviews
There are no reviews yet.