Description
দুমকার ফরেস্ট বাংলোর কুক আদিবাসী ওগনুর পনেরো-ষোলো বছরের মেয়ে ডুমনির রূপে মুগ্ধ হয়ে পড়ে ফরেস্ট অফিসার ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী। শুধু মুগ্ধ হওয়াই নয়, সে প্রথম দর্শনেই প্রেমে পড়ে যায়। ডুমনির দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতেই সে যেন জীবনে প্রথম বার নারীর সৌন্দর্য আবিষ্কার করে। ডুমনি ফর্সা নয়, লম্বাও নয়, তাও যেন ডুমনির রূপে কেমন যেন একটা আকর্ষণ ছিল। আর সেই আকর্ষণটাই যেন ইন্দ্রনীলের পায়ে পেরেক পুঁতে দেয়। যেন তেল চকচকে কালো পাথরে খোদাই করা এক নারী মূর্তি। যেন কোনো শিল্পী তার মনের মাধুরী মিশিয়ে সেই মূর্তি তৈরি করেছে। তার চোখে যেন একটা মায়াধরানো চাহনি আছে।
মাদকতা, মুগ্ধতার পর অবশেষে প্রেম। আদিবাসী মেয়ের প্রেমে হাবুডুবু খেতে খেতে ইন্দ্রনীল অপেক্ষা করছিল কবে ডুমনির আঠেরো বছর বয়স হবে। বিয়ে করবে ডুমনিকে।
এদিকে ডুমনির বয়স আঠেরো বছর হওয়ার আগে হঠাৎই ইন্দ্রনীলের ট্রান্সফার হয়ে যায় দুমকা থেকে ডালটনগঞ্জে। অন্য দিকে গ্রামের মুখিয়ার উদ্যোগে প্রায় জোর করেই ডুমনির বিয়ে হয়ে যায় পাশের গ্রামের এক আদিবাসী যুবকের সঙ্গে।
ইচ্ছে না থাকলেও, কয়েক বছরের মধ্যে ইন্দ্রনীলও বাধ্য হয় তার মায়ের পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করতে। দু’ বছরের মাথায় তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্মায়— অর্পিতা। ডুমনি ছেলের নাম দিয়েছিল রঘু প্রসাদ।
বাংলা সাহিত্যে আদিবাসী মেয়ের সঙ্গে বাঙালি ছেলের প্রেম নতুন নয় কিংবা উলটোটাও। কিন্তু ট্যুইস্ট এরপরই।
Reviews
There are no reviews yet.