Description
চিরায়ত শরদিন্দু
সম্পাদনা: ভাস্কর বসু
প্রকাশক: দ্য কাফে টেবল
প্রচ্ছদ: একতা ক্রিয়েটিভ টেলস্
জনপ্রিয়তাই কি তাঁকে ধ্রুপদী হতে দিল না? অন্য তিন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে যত আলোচনা, তাঁকে নিয়ে তার চেয়ে অনেক কম কেন?
প্রাবন্ধিক সুমন গুন লিখছেন,
“জনপ্রিয়তা যদি প্রতিষ্ঠার কোনও মাপকাঠি হয়, তাহলে যে রবীন্দ্রনাথ-শরৎচন্দ্রের পরে বাংলা কথাসাহিত্যে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজ্ঞাপনের ভাষায়, ‘অপ্রতিদ্বন্দ্বী’, এটাও আর নতুন কথা নয়।”
আমাদের গ্রন্থের মূল উদ্দেশ্যই তাই—- শরদিন্দুকে তাঁর যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়ে প্রতিষ্ঠা করা।
‘প্রসঙ্গ শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়’ প্রবন্ধে সুমিত রায় এই সিদ্ধান্তেই পৌঁছচ্ছেন, “অধ্যাপক (জগদীশ) ভট্টাচার্যের মত অভ্রান্ত, শরদিন্দু “রহস্যরসিক কবি।” আমাদের আর চাইবার কী থাকতে পারে!”
প্রাবন্ধিক বিকাশ বসু তাঁর অন্যান্য ব্যোমকেশহীন কাহিনিতে খুঁজে পেয়েছেন ব্যোমকেশের অনুসন্ধিৎসু মনের ছোঁয়া।
তাঁর শীর্ষ জনপ্রিয়তা ব্যোমকেশকে নিয়েই। বরেণ্য সাহিত্যিক শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় লিখছেন—-
“মেসবাড়ি, সন্ধে হলে রাস্তায় গ্যাসের আলো, বড়ো ফটকওয়ালা বাড়ির গেটে দারোয়ান, সম্পন্ন বাড়িতে হাউস ফিজিসিয়ান— সেসব গেল কোথায়? ব্যোমকেশের যত কাছে যাই, ফিরে ফিরে পড়ি, আর ওদের দেখা পাই।”
সুজন দাশগুপ্ত ব্যোমকেশের সঙ্গে অন্যান্য ডিটেকটিভ গল্পের তুলনা করে শেষে বলছেন, “কিছু একটা রয়েছে ব্যোমকেশ কাহিনীতে যা শুধু কালোত্তীর্ণ তাই নয়, একাধিক বার পড়েও আনন্দ পাওয়া যায়!”
সম্পাদক ভাস্কর বসুর লেখায় রইল বাঙালির এক চিরকালীন সম্পর্কের উন্মোচন, বৌদি ও ঠাকুরপো।
পল্লব চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধের বিষয় ব্যোমকেশের সাহিত্যপ্রীতি।
পুণার বাসিন্দা, আদ্যন্ত শরদিন্দু প্রেমী সূর্য সেনগুপ্তর কলমে আমরা পেয়েছি একটি মনোজ্ঞ লেখা—– শরদিন্দু সাহিত্যে পুণার ছবি।
দিলীপ দাসের বক্তব্য, তাঁর আখ্যানগুলি ইতিহাসভিত্তিক, সুতরাং শরদিন্দু ইতিহাসকে আধার রেখেই স্রষ্টার স্বাধীনতা নিয়েছেন।
ঈশানী রায়চৌধুরী শরদিন্দুর ঐতিহাসিক উপন্যাস ও গল্পগুলিতে পেয়েছেন রোমান্সের স্পর্শ ও ধ্রুপদী সাহিত্যের স্বাদ।
‘মিত্র ও ঘোষ’ প্রকাশনা সংস্থার কর্ণধার সবিতেন্দ্রনাথ রায় বা ‘ভানুবাবু’র লেখায় এক স্নেহশীল মানুষের কথা।
শরদিন্দুপুত্র শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত অঙ্গাঙ্গীভাবে। একটি সুদীর্ঘ সাক্ষাৎকার, যা শরদিন্দুপ্রেমীদের কাছে এক দুর্লভ প্রাপ্তি।
সাহিত্যিক শেখর মুখোপাধ্যায় লিখছেন,- ‘একটি অদ্ভুত উপন্যাস -‘স্বর্গের নির্জন উপকূলে’, লেখক সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়। সন্দীপনের এই উপন্যাসে জায়গায় জায়গায় গোঁজা আছে সেই কবেকার শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ছোটগল্প ‘রক্তসন্ধ্যা’। কেন?’ সত্যান্বেষণে ব্রতী হয়েছেন।
সুখ্যাত গল্পকার শেখর বসুর বিস্তারিত আলোচনাতে ধরা পড়েছে শরদিন্দুর ছোট গল্পের ব্যাপ্তি।
দেবজ্যোতি ভট্টাচার্যর কলমে রইল শরদিন্দুর কিশোর সাহিত্যের আলোচনা।
শরদিন্দুর সাহিত্যে নারীর ভূমিকা নির্ধারণের দুরূহ কাজটি নিয়েছেন শমীতা দাশ দাশগুপ্ত।
সব মিলিয়ে এই সংকলনটি পাঠকদের ‘কাছের বই’ হয়ে উঠবে বলেই আমাদের একান্ত বিশ্বাস।
Reviews
There are no reviews yet.