Description
কাজলবাবুর লেখায় একটা ছন্দময় গতিশীলতা আছে, যেটা থ্রিলারধর্মী গল্প পড়ার জন্য এক্কেবারে নিখুঁত বলে মনে হয়! ইংরাজি থ্রিলারগুলোর মতোই ওনার লেখনী টানটান। লেখকের যতগুলো লেখা পড়েছি তাতে হতাশ হতে হয়নি কখনো। এত এত থ্রিলারের বাজারে ব্ল্যাক অপারেশন ২ প্রথম সারিতে থাকার অন্যতম দাবিদার গল্পের সহজ-সরল প্লটবিন্যাস এবং আপাতসরল ভাষাপ্রয়োগের কুশলতায়। অহেতুক সাড়ে সাত প্যাঁচের জিলিপি থ্রিলার না লেখার জন্য লেখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
————————————-
এই বইতে আছে (প্রায়) সত্যি ঘটনার উপর নির্মিত পাঁচটি টানটান থ্রিলার।
প্রথম উপন্যাসিকা “সাদ্দাম হুসেনের স্বপ্নভঙ্গ”। সাদ্দাম হুসেনের ইচ্ছে ইরাককে পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে ইজরায়েলকে তছনছ করার। পরমাণু বোমার পাশাপাশি কেমিক্যাল-বায়োলজিক্যাল ওয়ারফেয়ারের সুপ্ত বাসনাও রয়েছে আবার। এরপর বিভিন্ন কূটনৈতিক উপায়ে ইরাককে বশে আনতে না পেরে ইজরায়েলের আল্টিমেট মাস্টারপ্ল্যান কতটা সফল হল জানা যাবে এই গল্পে।
দ্বিতীয় উপন্যাসিকা “টার্গেট ইরান, লড়াই এখনও চলছে”। লুকিয়ে-চুরিয়ে পরমাণু শক্তিবৃদ্ধি করছে ইরান। আমেরিকান স্যাটেলাইটের নজর এড়িয়ে দিব্যি চলছে কাজকর্ম। মোসাদ এবার ট্রেডমার্ক স্টাইলে ফিল্ডে নেমে পড়লো ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীদের টার্গেট করে। টার্গেট ইরানের ইন্টেলিজেন্সের হত্তাকত্তারাও। তারপর? লড়াই আভিভি জারি হ্যায়!
তৃতীয় উপন্যাসিকা “ইজরায়েলের পরিত্রাতা মিশরের দেবদূত”। মিশরের এক উচ্চপদস্থ পাবলিক ফিগার নিজের স্বার্থচরিতার্থে হঠাৎ মোসাদের ইনফর্মার হতে রাজি হয়ে গেল। শত্রুদেশে এহেন জ্যাকপটের সন্ধান ইজরায়েলের পবিত্র ইয়ম কিপুর উৎসবের আগে কতটা কাজে লাগলো তা বোঝা যাবে এই গল্পে। এই গল্পের পরিধি ছড়িয়ে আছে গোটা মধ্যপ্রাচ্য জুড়েই।
চতুর্থ উপন্যাসিকা “মৃতদেহে লেখা উড়ো চিঠি”। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অক্ষশক্তিকে বোকা বানিয়ে ভুল পথে চালনা করার জন্য মিত্রপক্ষের (একপ্রকার বলা ভালো চার্চিলের) ফাটাফাটি চালাকি প্ল্যান, নেপথ্যে এক হতভাগ্য ভবঘুরের লাশ! জেমস বন্ডের ছোঁয়াও আলতো করে দিয়ে রেখেছেন লেখক। অন্যতম সেরা গল্প হলেও বর্ণনাভারে একটু হলেও ভারাক্রান্ত।
শেষ উপন্যাসিকা “অ্যাবটাবাদের রহস্যময় ছায়ামানুষ”। নাম দেখেই সকলের কাছে সহজবোধ্য এটি লাদেন নিধনের কাহিনি। গল্পে লাদেনের বংশপরিচয়, উত্থান, পলায়ন এবং পতনের বর্ণনা সিনেমা বা ওয়েবসিরিজের মতো!
Reviews
There are no reviews yet.