Description
প্রফেসর ভূতনাথ শিকদার গবেষণা করেন। আর মাঝেমধ্যে পদ্য টদ্য লেখেন।
মেসমারিজিম – বশীকরণের কাজটা শুরু করেছিলেন সূদুর শিকাগো শহরে, ফ্রাইড্রিখ মেসমারের উত্তরসূরী ডঃ জুলিও মেসমারের গবেষণাগারে। শেষ করলেন কলকাতার কাছে পলাশবাগানে তার বাগানবাড়িতে। এবং সেটা তার সাবজেক্টদের উপর পরীক্ষা করার পর তিনি যতনা উৎফুল্ল, শঙ্কিত আরও বেশি। পারমাণবিক ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করার রিমোট বোতাম কোনও পাগল, বর্বর বিবেকহীন ব্যক্তির হাতে পরার থেকেও ভয়ঙ্কর এর পরিণতি! নিজের স্বপ্নপূরণের জন্য এ কী ভয়ানক এক ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন সৃষ্টি করেছেন তিনি?
তাঁর অনুমান যে কতটা নির্ভুল তা টের পেলেন যখন তাঁকে অপহরণ করল কিছু ক্ষমতালোভী অবিবেকী পাষণ্ড। এরকম কিছু ঘটতে পারে অনুমান করে হিপ্নোসেরিব্রিলের ফর্মুলা এবং প্রয়োগপদ্ধতি আগেভাগেই সযত্নে লুকিয়ে রেখে এসেছেন। আর তাঁর দুই প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীর জন্য লিখে রেখে এসেছেন দুটো পদ্য। ভোলু আর গালু কী পাবে তার সমাধান? এই দুর্বৃত্তদের কবল থেকে নিজেকে কীভাবে মুক্ত করবেন তিনি? মুক্তি না পেলে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত। তা তিনি ফর্মুলা হাতছাড়া করুন বা না করুন। তবে পরিত্রাণের উপায় একটা আছে। কিন্তু গালু ভোলু কি সেটা খুঁজে পাবে? ছেলেমেয়েদুটো এক্কেবারে ধানিলঙ্কা। সন্দেহ নেই দুটোর প্রচণ্ড বুদ্ধি …তাও…তাও…। ভুতুখুড়ো জানেন, তাঁর রেখে আসা সিরাম-সূত্র ধরে তাঁকে মুক্ত যদি পৃথিবীতে কেউ করতে পারে, সে ওই ছেলেমেয়েদুটোই…
এখন তাই গালু-ভোলুর গ্রে-ম্যাটারের উপর নির্ভর করছে ভুতুখুড়োর সিরাম… এবং পৃথিবীর ভবিষ্যৎ…
“ভুতুখুড়োর সিরাম” – এক রোমহর্ষক থ্রিলার যা বড়ো ছোট সবাইকে ভাবতে বাধ্য করবে…
Reviews
There are no reviews yet.