Description
গোপালকৃষ্ণ শৰ্মা প্রায় দেড়দশক ধরে মান্য ভাষার পাশাপাশি সমান্তরাল ভাষা নিয়ে চর্চা করে চলেছেন। শ্রেণি বিভক্ত সমাজে বিচিত্র সমাজ মানসিকতার সমুদ্রে সাঁতার কেটে ক্ষেত্র অনুসন্ধানের মাধ্যমে রহস্যময় সমান্তরাল জগতের ভাষার দূর্গ ভেদ করতে সচেষ্ট হয়েছেন। সমাজবিজ্ঞানীর অনুসন্ধানী চোখে, সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিতে বহুমাত্রিক বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে তিনি ছাত্র শিক্ষক গবেষক এবং সাধারণ পাঠকের জন্য প্রয়োজনীয় আকরগ্রন্থ সমান্তরাল ভাষার ‘স্ন্যাং’ অভিধান সংকলনের মূল্যবান কাজটি করেছেন।
সাধারণভাবে ‘স্ন্যাং’ সম্বন্ধে ধারণা হল ‘ইতর শব্দ’, ‘অশ্লীল শব্দ’, ‘গালী গালাজ’, ‘খিস্তি খেউড়’, ‘অকথ্য শব্দ’, ‘নোংরা কথা’, ‘খারাপ কথা’, ‘মুখ খারাপের ভাষা’ ইত্যাদি। প্রকৃতপক্ষে ‘স্ল্যাং’এর পরিধি আরও ব্যাপক, একে এক কথায় বর্ণনা করা কঠিন।
WEBSTAR COMPREHENSIVE DICTIONARY: ENCYCLOPEDIA EDITION তে ‘SLANG’ সম্পর্কে অভিমত “Slang is difficult to define because the term itself has changed in meaning over the centu ries.”
বাংলা ভাষাবিদরা ‘স্ল্যাং’ এর প্রতিশব্দ হিসাবে ‘অপভাষা ‘, ‘ইতর শব্দ ‘, ‘গ্রাম্য শব্দ ‘ ইত্যাদি ব্যবহার করেছেন। ড. সুকুমার সেন ও ড.রমেশ্বর শ ‘স্ল্যাং’ এর প্রতিশব্দ হিসাবে ‘ইতর শব্দ ‘ ব্যবহার করেছেন যা কিনা ‘ভদ্রলোক ও শিক্ষিত সমাজে’ ব্যবহার হয় না। ‘চৈতন্য চরিতামৃত ‘ গ্রন্থে এ জাতীয় শব্দকে ‘গ্রাম্য’ বলে অভিহিত করা হয়েছে— ” গ্রাম্য কথা, গ্রাম্য বার্তা কভু না শুনিবে”। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে ‘গালি’ শব্দের উল্লেখ আছে —” পাছে মোরে না দহিলি গালি”। ড. সুকুমার সেন ‘অপভাষা ‘ শব্দটিও ব্যবহার করেছেন। অর্থাৎ যা কিনা বিকৃত বা হীনার্থে ব্যবহৃত শব্দ বোঝায়।
Reviews
There are no reviews yet.