Description
বাংলার পাখি
অজয় হোম
পক্ষিরসিক অজয় হােম ( ১৯১৩-১৯৯২)-এর জন্ম কলকাতায়। শৈশব ও কৈশােরের পড়াশােনাও কলকাতায়। পরে বিদ্যাসাগর কলেজ বিজ্ঞানের স্নাতক। স্বল্পকালীন কয়েকটি পেশার পর স্থায়ীভাবে যুক্ত হন ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটে এবং সেখান থেকেই অবসর। ছেলেবেলা থেকেই পক্ষিজাতির প্রতি অজয় হােমের ছিল গভীর মমত্ব। অনেক পাখি পুষেছেন , পাখিদের নিয়ে গবেষণাও করেছেন বিস্তর। ঝিলে , জঙ্গলে ঘুরে বেড়িয়েছেন অনেক। পাখি খোঁজার নেশায় শিকারও করেছেন মাঝে মধ্যে। প্রকৃতিপ্রেমিক অজয় হােমের বেশির ভাগ লেখাই পশুপাখি , বনজঙ্গল নিয়ে। কিছু মৌলিক গল্প ছাড়া অনুবাদও করেছেন। লেখকের প্রথম গ্রন্থ ‘ বাংলার পাখি ’, প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৩৮০ সালে। দীর্ঘ সময় পরে দ্বিতীয় শােভন মুদ্রণ প্রকাশিত হয় ১৩৯৯ সালে। ‘বাংলার পাখি’ তে লেখক দণ্ডচারী পাখিদের নিয়ে লিখেছিলেন। এরই পরিপূরক গ্রন্থ হিসেবে তিনি লিখেছিলেন ‘ চেনা – অচেনা পাখি’। চেনা – জানা জীবজন্তুদের নিয়েও একটি গ্রন্থ ‘ বিচিত্র জীবজন্তু’। অজয় হোম তাঁর নিরলস সাধনার জন্য বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ‘ অর্চনা চৌধুরী ‘ পুরস্কার পান ১৯৯২ – তে। সায়েন্স অ্যাসােসিয়েশন অব বেঙ্গল থেকে শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানলেখক হিসেবে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হয় ১৯৮৭ – তে। ছােটদের জন্য জনপ্রিয় বিজ্ঞান রচনার জন্য অজয় হােম সর্বপ্রথম ‘ কিশাের জ্ঞান বিজ্ঞান’ পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন।
———————-
বিজ্ঞানীদের অনুমান মানুষ জীবনের বহুবহু যুগের আগেই পক্ষিজীবনের শুরু হয়েছিল। সে প্রায় ১৪ কোটি বছর আগের কথা। বিবর্তনের ধারায় পাখি এসেছে অনেক পরে। দেশ – কাল ঋতুভেদে বহু পাখিকে আমরা আর দেখতেও পাই না। কিন্তু তবুও যাদের দেখতে পাই — তাদেরই বা কতটুকু চিনি ? কাক , চিল , চড়াই , শালিক পাখিদের এদিক – ওদিক উড়ে বেড়াতে দেখি। দোয়েল , শ্যামা , ফিঙে পাখিরাও আমাদের চেনা – জানা পাখির মধ্যেই পড়ে। কিন্তু কাবাসী , খঞ্জন , দুক্কা , ছাতারে পাখিদের নাম জানলেও হয়তাে চিনতে পারব না। চিনতে পারব না মৌটুসী , ফুটকি , আলতাপরী বেনেবৌদেরও। এরা কিন্তু সবাই দণ্ডচারী পাখি। এইসব দণ্ডচারী পাখিদের কথাই পক্ষিবিজ্ঞানী অজয় হােম ছবির সাহায্যে সরলভাবে বর্ণনা করেছেন ‘ বাংলার পাখি ’ গ্রন্থে ।
neel –
One of the best books on birds and bird watching.