Description
‘বাবরের প্রার্থনা’ নাটকটি লিখেছিলাম আগস্ট-সেপ্টেম্বর ২০০৬-এ। লেখাটিকে এক অথে যুদ্ধ ও সন্ত্রাসবিরোধী একটি ব্যক্তিগত বয়ান হিসেবে দেখা যেতে পারে। আবার কতকগুলো টুকরো চরিত্র, সমসাময়িক ঐতিহাসিক চরিত্র যথা ও ডব্লিউ বুশ, টোনি ব্লেয়ার, ওসামা বিন লাদেন বা অতীত চরিত্র যথা বাবর, হুমায়ুন, খোন্দামির, মহিম বেগ ইত্যাদিদের উপস্থিতিতে একটি প্রবন্ধ ইশারা, নাটিক মুহুর্ত, মন্তাজসদৃশ দৃশ্যমালা এবং তার মাঝে কাব্যপ্রবেশের ঈষৎ সংক্রমণে ও তথ্যনিচয়ের পরিকীর্ণতায় এটিকে একটি নাট্যের না-খসড়া হিসেবেও ভাবা যেতে পারে। লেখাটি পাকিয়ে উঠছিল বছর দুয়েক ধরে, কল্যাণী নাট্যচর্চা কেন্দ্রের কিশোর সেনগুপ্ত-র সঙ্গে আলোচনার ফলশ্রুতিতে ঋত্বিক সদনের ক্যান্টিনে এক স্বল্পকালীন সান্ধ্য আডডার অবসরে। নাটকটির ভাবনাবীজ জন্ম নিয়েছিল।
নাটকটি নিয়ে আর একটি কথাও বলব না। তা যদি আপনারা পড়ে নিতে পারেন তবে আমার বলা সমস্ত কথাই নাটকটিতে রয়েছে। শুধু এটুকু বলি, রাজ্যের সাম্প্রতিক সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী আমাকে আরেকবার ভাবিয়েছিল নাটকটির পুনর্নির্মাণে। কিন্তু ততদিনে কিশোরদের কাজ প্রায় শেষের মুখে। স্থির করলাম যে লেখা আছে তাই যাক।
আজ যে এটি বই হতে পারল তার কৃতিত্ব পুরোপুরিই নতুন প্রকাশক নিমাই গরাই ও তার প্রকাশনা সংস্থা ‘লালমাটি’-র। ‘অহর্নিশ’-এর শুভাশিস চক্রবর্তী যথারীতি এই বইটিরও পেছনে তার নিরলস শ্রম দিয়েছেন। তাকে এবং তার স্ত্রী সোমা, সীমান্ত গুহঠাকুরতা ও কিশোর ঘোষকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের এই বন্ধুত্বকে খাটো করার কোনো মানে নেই। বইটির ভূমিকা ও আমার জীবনের ভূমিকার জন্য আবারও জয় গোস্বামীকে আমি প্রণাম জানাচ্ছি। বইটির প্রচ্ছদের জন্য শিল্পী-বন্ধু ও অগ্রজ শ্রীহিরণ মিত্রের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।
ব্রাত্য বসু
Reviews
There are no reviews yet.