Description
ধ্বংসলীলা চলেছিল মুঘল সাম্রাজ্য পতনের যুগেও। ১৭৫০ খ্রিস্টাব্দে মির বখশি সালাবত খানের সঙ্গে নিমরানা (Nimrana) নামক স্থানে জাঠবাহিনীর যুদ্ধ হয়, পরাজিত সালাত খানকে জাঠরা নিম্নলিখিত শর্তে মুক্তি দেয়— ১. পিপল গাছ কাটা হবে না বলে বাদশাহি প্রশাসনকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে, ২. সেগুলিতে পূজার্চনায় বাধা দেওয়া যাবে না…. (মুঘল সাম্রাজ্যের পতন, ১ম, ৭:৯ অধ্যায়)। স্থানীয় জাঠরা পিপল গাছকে দেবতাজ্ঞানে পূজা করত এবং ক্ষয়িষ্ণু মুঘল প্রশাসনের ধর্মান্ধ আধিকারিকরা সেগুলি নির্বিচারে কেটে ফেলত। ৬০০ বছর ধরে মুসলমান শাসকরা (আকবর বাদে) তাদের ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা থেকে হিন্দু মন্দির ও দেবতার মূর্তি ধ্বংস, অপবিত্রকরণ, জিজিয়া আরোপ ও আদায়, তাদের প্রতি ধর্মীয় কারণে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে কী লাভ উশুল করেছিলেন? এর ফলে কি হিন্দুদের দেব-দেবীর প্রতি, ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি এতটুকু চিড় ধরেছিল? যেহেতু তাদের ‘ভগবান’ তাৎক্ষণিকভাবে মন্দির বা মূর্তি ধ্বংসকারী বা অপবিত্রকারীদের শাস্তি দিতে পারেননি, হিন্দুদের কি মনে হয়েছিল তাদের ভগবান ক্ষমতাহীন বা শক্তিহীন? শাস্তিদানে অক্ষম? মুসলিমদের ধর্মের প্রতি কি তাদের আগ্রহ বা ভালোবাসা বৃদ্ধি পেয়েছিল? ইসলাম ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জেগেছিল? একথা কি তাদের মনে জেগেছিল যে ইসলাম তাদের ধর্মের চেয়ে উন্নত, বা বিপরীতক্রমে, ইসলামের চেয়ে তাদের ধর্ম নিম্নমানের? এধরনের অগুনতি সমস্ত প্রশ্নের উত্তর একটাই, – ‘না’।
Reviews
There are no reviews yet.