Description
এরকমই একদিন শ্রমণগন উপস্থিত হয়েছেন তার গৃহে,এমন সময় প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হল l ফলে শ্রমণরা যারা শুধুমাত্র একটি ছিন্ন কাষায় নির্ভর হয়ে দিনযাপন করতেন তাদের দুর্গতির সীমা থাকলনা l অবিরাম বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া শ্রমণদের দুর্গতি নজর এড়ালোনা মিগারমাতার l অতিসত্ত্বর বিশাখা ছুটলেন তথাগতের কাছে…সঙ্গে কয়েকটি প্রশ্ন l কেন এতো অসহায় ভাবে জীবনযাপন করবেন ভিক্ষুরা l বুদ্ধ তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন সংসার ত্যাগী ভিক্ষুদের এ-পথে আসতেই হয় জাগতিক সমস্ত দুঃখ কষ্টকে হেলায় সরিয়ে রেখে l কিন্তু বিশাখা নাছোড়, কোনোভাবেই তিনি মানবেন না ভিক্ষুদের এই দুরাবস্থা lতিনি তো মাতা ! ফলে একসময় বুদ্ধও হার মানতে বাধ্য হলেন, মঞ্জুর করলেন কয়েকটি দাবি l কয়েকটি মানে নেহাত কম নয়… আটটি দাবি মেনে নেওয়ার আশীর্বাদ দিলেন বিশাখাকে l তারমধ্যে যেমন ছিল বিহারে বসবাসকারী , অসুস্থ ও পরিব্রাজক ভিক্ষুদের জন্য নিয়মিত আহার প্রদানের অনুমতি, ঠিক তেমনই ছিল ভিক্ষু ও ভিক্ষুনীদের স্নানের পোশাক, ওষুধ ও আরো কিছু অতি প্রয়োজনীয় বস্তুর সংঘে প্রবেশাধিকারের মান্যতা ও অনুমতি।বুদ্ধের প্রশ্নের জবাবে কী এমন বলেছিলেন বিশাখা? যার কারণে আলোকিত মহাপুরুষও মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন তার দাবি l বিশাখার উত্তরটি ছিল অত্যন্ত সপ্রতিভ যার বিরোধিতা করতে পারেননি স্বয়ং তথাগত l বুদ্ধ প্রশ্ন করেছিলেন ভিক্ষু বা ভিক্ষুনীদের জন্য এই সুবিধা গুলি উপলব্ধ করিয়ে তার নিজের কি লাভ? উত্তরে মিগারমাতা বিশাখা জানান, যদি কখনো কোন শ্রমণ শ্রাবস্তীতে এসেছিলেন এই সংবাদ কর্ণগোচর হয়, ধরে নেবেন তিনি তাঁর সেবা করতে পেরেছিলেন, বস্ত্রের দ্বারা, অন্নের দ্বারা, এই পরমপ্রাপ্তি তার দেহ মনে যে উৎফুল্লতা দেবে তা থেকে তথাগত যেন তাকে বঞ্চিত না করেন l বলাই বাহুল্য, এ উত্তর শোনার পর তথাগত পারেননি তাকে হতাশ করতে l
Reviews
There are no reviews yet.