Arshi Manush

রূপ হলাে আরশি , স্বরূপ তাতে প্রতিফলিত সত্যমানুষ। রূপ – দর্পণে ফুটে – ওঠা প্রবৃত্তির ক্লেদ – পাপ – নদর্মা- প্রবাহের মােকাবিলা করে সৎ – স্বচ্ছ – শুভ- সু – সুন্দর – পবিত্র হয়ে সত্যমানুষ আরশি মানুষ হয়। আরশি মানুষ হতে চেয়ে তার সন্ধানে নেমে এই আখ্যানের পাত্রপাত্রীরা লক্ষৌয়ের ভুলভুলাইয়ার আদলে জীবন – রহস্যের সমাধান খুঁজেছে। এ – ইমারতের কোনও ঘরে ঢুকতে গেলে চার – দুয়ারের মুখােমুখি হতে হয় যার তিনটি কানাগলি একটি ছহি বা সঠিক। কাম – প্রেম যৌনতার ধারাপাতে মানবজীবন সম্পর্কেরও চার – প্রকোষ্ঠ এক পুরুষের বহুগামিতা ও নারীর একগামিতা , দুই নারীর বহুগামিতা ও পুরুষের একগামিতা , তিন উভয়ত নারীপুরুষের বহুগামিতা এবং চার- নারীপুরুষ দু – পক্ষেরই একগামিতা— আত্মকামিতা। —এ চার ঘরে ঠিক ভুলের ছক্কাগুটি চেলে সম্পর্কের পাপধারাকে আরশি মানুষ পুণ্যতােয়া করে। তবে প্রেম – কাম – যৌনতার গলৎ – ছহি দুয়ারের সামনে ধাঁধা – খাওয়া মানুষকে। প্রচল – সমাজপ্রবাহ ছহি – দুয়ারের দিশা দেয় না। দেয় পাল্টা – সভ্যতার বাউল ব্যাকরণ। ফলে লালন – পাঞ্জ – দুদু – গগন – জালাল হাছনরাজা সহ বেশ ক – জন বাউল – ফকিরের গান ও তত্ত্ব ত্যর প্রেক্ষিতে যৌনজীবনের নবতর বােধ – বােধির অমৃততােয়া কুণ্ডতে অবগাহন করেছে আরশি মানুষের চরিত্ররা। আরশি মানুষ তখন আরশি – জীবন ও আরশি – সমাজ হয়ে উঠেছে।