Description
‘আমাদের চিনচর্চা’
শংকর
এত কাছাকাছি তবু এত দূর ! এই হল চিনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক । অথচ গত আড়াই হাজার বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে যে বিনিময় হয়েছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিস্ময়কর ঘটনা । প্রাচীন যুগের এই সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন স্বয়ং ভগবান বুদ্ধ ও তাঁর প্রচারিত ধর্ম , যা একসময় চিনের শ্রেষ্ঠ মানুষদের এমনই উদ্দীপ্ত করেছিল যে তারা নিতান্ত অল্পবয়সে সংসার ত্যাগ করে , দুর্গম গিরি কান্তার মরু পেরিয়ে এদেশে আসতেন তীর্থযাত্রায় এবং বৌদ্ধশাস্ত্রাদি সংগ্রহ করে চিনাভাষায় তার যথাযথ অনুবাদের প্রচেষ্টায় । উলটোপথে যেসব প্রাজ্ঞ ব্যক্তি এদেশ থেকে তিব্বত , চিন এবং কোরিয়ায় গিয়েছিলেন তাঁদের জীবনকথাও কম রােমাঞ্চকর নয় । এদের অনেকেই আর কাজ সম্পন্ন করে দেশে ফিরতে পারনেনি । আড়াই হাজার বছরে অঘটনও ঘটেছে বেশ কিছু । যে আটজন ভারতীয় সম্রাট অশােকের সময় চিনে গিয়েছিলেন চিনসম্রাটের খেয়ালে তাঁদের খুন করা হয়েছিল । আবার সর্বত্যাগী চিনা সন্ন্যাসী ধরা পড়েছিলেন শ্রীলঙ্কার মন্দির থেকে বুদ্ধদন্ত চুরি করতে গিয়ে । বহু যুগ পরে চিনকে – বিপন্ন – করা আফিমের ব্যবসায় বেশ বড় ভূমিকা । নিয়েছিলেন কলকাতার মুনাফালােভী স্বদেশি ও বিদেশি ব্যবসায়ীরা । আবার উনিশ শতকে সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দ ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন , নবযুগের বিশ্বসভায় চিনই আবার প্রধান আসন লাভ করবে , তার ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা হয়নি । বাঙালি লেখক কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মসূত্রে চিনে গিয়েছিলেন ১৯০২ সালে । এই বইতে পুনর্মুদ্রিত তাঁর চিনযাত্রার কাহিনি আজও পাঠকদের ভালাে লাগবে । আর ভালাে লাগবে একাল ও সেকালের দুষ্প্রাপ্য ছবিগুলি যা এর আগে কোনাে বাংলা বইতে এইভাবে সংগৃহীত হয়নি ।
Reviews
There are no reviews yet.