Description
পূর্বভারত-কেন্দ্রিক ভগবান বুদ্ধের ধর্ম ও ধর্ম এই শিল্পীদের অভিজ্ঞতা কল্পনাতীত। তাঁদের চৈতন্য দান করা। ‘অজন্তা’-র গুহাশিল্প নির্মাণের এই বিস্ময়কর যাত্রাপথেরই আখ্যান এই কাহিনি ।
ভাবনার নির্দিষ্ট রূপ দিতে ভিক্ষু ধর্মরক্ষিত বহু শিল্পীদের নিয়ে যান অজন্তায় ৷ গুহাগৃহের কাজে বৈশিষ্ট্যই ছিল ধ্যান চৈতন্যের মধ্য দিয়ে অচেতনে ।
‘অজন্তা’— নামটিই সাংস্কৃতিক বিশ্বের ভাবুক মনকে অতীত শিল্পের এক স্বপ্নময় দেশে পৌঁছে দেয়। অবাক বিস্ময়ে ভাবুক মন ভাবতে থাকে আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে, কোন শিল্পীর ঐশ্বরিক হাত শুধুমাত্র লোহার ছেনি হাতুড়ির মতো যন্ত্র, লতা-পাতা বা পশুর লোমের তুলি, খনিজ ও ভেষজ রং দিয়ে সহ্যাদ্রি পাহাড়ের আগ্নেয় শিলায় এই বিস্ময়কর শিল্প গড়ে তুলেছিল। ‘অজন্তা’-কে নিয়ে এই বিস্ময়কে আরও উস্কে দিয়েছে আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া আর বিভিন্ন শিল্পী, কবি ও ঐতিহাসিকেরা। নিরন্তর ভাবনার অন্তরাল থেকে উঠে আসে এই কাহিনির প্রেক্ষাপট। ভৌগোলিক অবস্থানের সঙ্গে সমসংগতে উপন্যাসের প্রতীক চরিত্ররা। অজন্তার ছাব্বিশটি গুহাগৃহের মধ্যে মাত্র ছয়টি গুহার কাজ সূচনাপর্বে তৈরি করেছিলেন বৌদ্ধ হীনযান সম্প্রদায়ের ভিক্ষুরা। বৃহৎবঙ্গ তথা অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গ ও মগধের শিল্পীদের দিয়ে বাকি কুড়িটি গুহাগৃহের কাজ এই রচনার বিষয় নয়। ইতিহাস বলে বাকি কুড়িটি গুহাগৃহের নির্মাণকাল এই সূচনাপর্বের প্রায় চার থেকে ছয়শত বছরের ব্যবধানে বৌদ্ধ মহাযান সম্প্রদায়ের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়।
এই শিল্পী কারা ? কোথাকার লোক ? এর উত্তরই এই উপন্যাসে উপস্থাপিত হয়েছে। এই শিল্পীরা বৃহৎবঙ্গের অধিবাসী। মূলত পূর্বভারত-কেন্দ্রিক ভগবান বুদ্ধের ধর্ম ও ধর্মভাবনার নির্দিষ্ট রূপ দিতে ভিক্ষু ধর্মরক্ষিত এইসব শিল্পীদের নিয়ে যান অজন্তায়। গুহাগৃহের কাজে যাঁদের অভিজ্ঞতা ছিল কল্পনাতীত। এই সব শিল্পীর বৈশিষ্ট্যই ছিল ধ্যান চৈতন্যের মধ্য দিয়ে অচেতনে চৈতন্য দান করা। ‘অজন্তা’-র গুহাশিল্প নির্মাণের এই বিস্ময়কর যাত্রাপথেরই আখ্যান এই কাহিনি ।
Reviews
There are no reviews yet.