Description
“পরদিন সকালে উঠে আবার কাজের প্রস্তুতি শুরু। আজ স্যাম্পল গুলো তৈরি করতে হবে। মাসের পনের তারিখ হয়ে গেল। এখনো রিপোর্ট না পাঠালে এবার চাকরি নিয়ে টানাটানি হবে। কিন্তু ফ্রিজের থেকে জলের বোতলটা বের করতে গিয়েই আবার নজর কাড়ল ওই ফলটা! হাতে ঘন্টা খানেক সময় আছে – আজ একটু দেখি ফলটাকে – কি আছে ভিতরে! বুধো আসার আগেই কাটতে হবে, না হলে চিৎকার চেচামেচি করে সব মাথায় তুলবে! যেমন ভাবা তেমনি কাজ – চেয়ারে বসে ডাইনিং টেবিলের উপর রেখে, ফলটা ছুরি দিয়ে কাটা শুরু করলাম। একটা ফালি কাটতেই হাল্কা একটা মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে পড়ল। আস্তে আস্তে তীব্র হচ্ছে গন্ধটা, সাথে একটা ঝাঁঝ বাড়ছে। চোখটা কি জ্বালা করছে একটু – ধুর ঘুম থেকে উঠে চোখে জলটা ঠিক করে দেওয়া হয়নি ঠিকঠাক। ছুরি আর ফল ওভাবেই রেখে, ওয়াশ বেসিন থেকে মুখে চোখে জলের ঝাপটা দিলাম – আহ এইতো বেশ লাগছে। টাওয়েলে হাত মুখ মুছে আবার বসলাম। এবার ফলটাকে ভালো করে দেখলাম – বাইরেটা কালচে সবুজ আর ভিতরটা কমলা, ঠিক হাঁসের ডিমের কুসুম যেমন রঙ সেরকম। অন্য দিকটা কাটতে যেতেই হাতটা একটু কেঁপে গেল। চোখটা সত্যি জ্বালা করছে। সেই ঝাঁঝালো গন্ধটা এখন বেশ তীব্র। চেয়ারে বসেও মাথাটা একটু টলছে যেন। এটা কি ওই ঝাঁঝালো গন্ধের জন্য? কিছু বোঝার আগেই হাত থেকে ছুরিটা পড়ে গেল কাঁচের টেবিলের উপর! বাঁ হাত থেকে ফলের টুকরোটা রাখলাম, কিন্তু ইচ্ছে করলেও আর ডান হাতটা নাড়াতে পারছিনা! বাঁ হাতটা ভারী হয়ে আসছে, মাথার ভিতর একটা অস্বস্তি – সারা ঘর প্রচন্ড দুলছে। জিভটা জড়িয়ে আসছে, চোখের পাতা ভারী হয়ে আসছে- আমি আর বসে থাকতে পারছিনা, চেয়ার থেকে পড়ে যাচ্ছি, মা মাগো…”
কি সেই ফল ?
কেন ফলের গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ছে গোটা গ্রামের মানুষ?
অরিন্দম কি পারবে তাদের রক্ষা করতে?
Reviews
There are no reviews yet.