Description
সন্ধ্যা, পাখিদের মাঝে মুক্তির আনন্দ খুঁজে পাওয়া এক মেয়ে। কিন্তু তার ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে এক আকাশে উড়ে বেড়ানোর সুযোগ পায় না সে। দু’জনকেই খুঁজে নিতে হয় নিজের নিজের আকাশ। আবার পাখিরা কোনো একদিন হঠাৎ মিলিয়ে দেয় দু’জনকে। মুহূর্তের জন্য থমকে দাঁড়ালেও জীবনের নিয়ম মেনে আবার যে যার আকাশে উড়ে চলে যায়। দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সন্ধ্যা নদী’ বন্ধন আর মুক্তির গল্প বলে জীবনকে চেনায় অন্যভাবে।
শুকনো খটখটে জায়গা বাতাসপুর। সেখানে জীবিকার তাগিদে এসে হাজির হয় ওষুধ কোম্পানির সেল্স রিপ্রেজেন্টেটিভ অর্চিমান। আর তার প্রভাবেই ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে রীতার জীবন। আবার গড়ে উঠতে থাকে সুধীরবাবুর অগোছালো এলোমেলো সংসার। সেই গড়ে ওঠার ছবিই ফুটে ওঠে ‘বেলা ছোট হয়ে আসে’ উপন্যাসে।
পাঁচ-পাঁচটা নামের সঙ্গে মানিয়ে চলার অভ্যেস রপ্ত করতে হয়েছিল হেমন্তকে। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা। সংসার ভরা দারিদ্র। নামের সঙ্গে আপোশ তো করতেই হবে। বিপ্লবের আদর্শে অনুপ্রাণিত না হয়েও হেমন্ত কীভাবে জড়িয়ে পড়েছিল নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারই আখ্যান ‘মরচে পড়া পিস্তল’।
জীবন যে আসলে একাই টেনে নিয়ে যেতে হয় তা জীবন দিয়েই বুঝেছে শেফালি। একা চলার মতো করে নিজেকে গড়ে নিতে নিতেই এগিয়েছে। পথের বাঁকে দেখা হয়েছে মুকুন্দর সঙ্গে। মুকুন্দর ডাকে সাড়া দেওয়ার প্রাথমিক দ্বিধা কাটিয়ে ওঠার সময়টুকুতেই ‘বিয়াল্লিশ রুটির পিছনে’ পড়ে গেছে সে।
Reviews
There are no reviews yet.