Description
ভাষার নরম অতিক্রম করে স্রোত এসে আছড়ে পড়ে ঘরে। সবটুকু যে বাঁচিয়ে ওঠা যায় না তা বুঝে উঠতে সময় লেগে যায় অনেকটা। পুরুষের অধীনস্থ কোনো আবেগ নেই শুধু বয়ে চলাটুকু আছে; আছে পুরুষালি দু:খ দিয়ে মূর্তি গড়ে তার সামনে বসে বসে নিশ্চুপে মানস-ভ্রমণ। ক্রমশ অবয়বহীন এক বোবা মোহো চেপে ধরে। আমরা ভুলে যাই পিতৃপুরুষ। ভিটে। মৃত্তিকাহীন এক চরাচর জেগে ওঠে সমগ্র সত্ত্বা জুড়ে। কিছুই ধরে রাখবার ক্ষমতা নেই যেন। ঘর থেকে কেউ যেন উঠে চলে যায় সেই চরাচর ধরে। ছাপ পড়ে পায়ের। মিলিয়ে যায়। নির্মোহ। পাঠকের গভীর অবধি এই স্বর বাজতে থাকে। মিলেয়ে যায় একসময়। কারণ একদিন আমাদেরও কেউ আশ্রয় দিয়েছিল কোনোখানে। তাই জেগে থাকাটুকু জরুরি! স্বার্থক পাঠ এই কাব্যগ্রন্থ।
পঙ্কজ চক্রবর্তী এই সময়ের একজন শক্তিশালী কবি এবং গদ্যকার। তাঁর শব্দ প্রয়োগ স্বতন্ত্র। স্বর মৌলিক। “উদাসীন পাঠকের ঘর” তার তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ। এই কাব্যগ্রন্থ সময়ের নিরীক্ষণে এক উজ্জ্বল দলিল। মানুষের ধাতব আদলের বদলে তিনি গড়তে চেয়েছেন এক জলজ্যান্ত সহজ প্রাণ। তিনি তার মানস সরোবর’এ জায়গা করে দিয়েছেন। দীর্ঘদিন লালন করেছেন। একটা ঘর। মানবিক। মনস্তাত্ত্বিক।
Reviews
There are no reviews yet.