Description
তরঙ্গ ওঠে
সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়
সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়ের এই উপন্যাসের মূল চরিত্র হল দেবাংশু রায় যার স্ত্রী লোপা গত ছয় মাস আগেই রোগে ভুগে মারা গেছেন। লোপাদেবী শিক্ষিতা ছিলেন এবং খুব ভালো গান গাইতেন। দেবাংশু ও লোপাদেবীর একমাত্র ছেলে সায়র কলেজে প্রথম বর্ষে পাঠরত। সায়র মায়ের এই অকালমৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারে না এবং কিছু মাসের মধ্যেই প্রেমিকা হিমিকার মায়ের কাছে জানতে পারে কোনো এক জয়িতা নাগের সাথে তাঁর বাবার প্রেমের কথা।
এই ঘটনায় সায়র যারপরনাই আহত হয়। তাঁর বাবা দেবাংশুর মতো একজন আত্মমর্যাদাশীল, দায়িত্ববান মানুষ কিভাবে তাঁর চেয়ে প্রায় বছর পনেরো ছোটো অবিবাহিতা এক সহকর্মীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লেন, তা ভেবে অবাক হয় এবং মনে মনে ঠিক করে নেয়, হয়তো তাঁর মাও তাঁর বাবার এই সম্পর্কটা আঁচ করতে পেরেছিলেন…… আর তাই স্বেচ্ছায় হয়তো জীবন থেকে সরে গেছেন। সায়রের এই প্রতিশোধস্পৃহা তাঁকে চালনা করে বীভৎসতার দিকে এবং সায়র সুপারি কিলার দিয়ে জয়িতাকে মেরে ফেলতে উদ্যত হয়।
অন্যদিকে দেবাংশু রায়ের প্রেমিকা জয়িতা শিক্ষিতা এবং বুদ্ধিমতী। বাবা মারা যাওয়ার পর সে নিজেই হয়ে উঠেছে তাঁর পরিবারের অভিভাবক। অসহায় মা, প্রতিবন্ধী বোন, শ্বশুরবাড়ি ফেরত সন্তানসম্ভবা ছোটো বোন ও তাঁর কর্মবিমুখ স্বামী…. সবার দায়িত্ব যার কাঁধে, সে জয়িতা কি পারবে দেবাংশু রায়ের সাথে নিজের স্বপ্নের জাল বুনতে??
“কী হয়? কী হতে পারতো? এসবে কী কিছু এসে যায়?
চোখে চোখ পড়ামাত্র ছোঁয়া লাগলো চোখের পাতায়-
সেই তো যথেষ্ট স্বর্গ- সেই স্পর্শ ভাবি আজ; সেই যে অবাক করা গলা
অন্ধকারে তাও ফিরে আসে।”
Reviews
There are no reviews yet.