Description
শতাব্দীর মূল্যবোধে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
ঊনবিংশ শতাব্দীতে বন্ধুত্বের জাগরণ না এসে আজকের ভারতবষে পদত বিকাশ হত না। কাজের এই বীজ থেকেই কামে যে বিশাল গাছটি হয়েছিল তা ঈশ্বরচন্দ্রেরই হাতে। ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সমাজের চলাচালে এক যুক্তিগ্রাহ্য পথ তৈরি করেন তিনি। সংঘাত, সংকট, বিক্ষে অতিক্রম করে, যা পড়ান, তা হল মানবিকতার আবেদন। আসলে বাঙালির লবন ও মননে বিশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন সম্পূর্ণ বাবক। তিনি বুঝিয়েছেন সমাজ যত বেশি মুক্তির তা ৩৬ বেশি ধর্ম নিরপেক্ষ।
তৎকালীন নানা বিদর্শী মানুষ ছাড়াও আর যা বিদ্যাসাগরকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল তা হল বিশেষ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সংস্কৃত কলেজ, ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ এবং এশিয়াটিক সোসাইটি। সেই সঙ্গে আরও যে একটি প্রতিষ্ঠানকে তিনি গুরুত্ব দিয়েছিলেন তা হল শ্রীরামপুর মিশন প্রেস। তিনি বুঝেছিলেন বাংলার শিক্ষা বিস্তারে শুধু ভাল পাঠ্যপুস্তক থাকলেই চলবে না, একই সঙ্গে রুচিরও পরিবর্তন করতে হবে। ঈশ্বরচন্দ্রের সমাজভাবনা আবর্তিত হ ব্যক্তির মুক্তকরে। একদিকে আইন, অন্যদিকে মনুষ্যত্ববোধ পূর্ণ প্রকাশে সমাজের ভিত নির্ধারিত হবে। মানব তনায় ঈশ্বরচন্দ্রের সমাজভাবনার প্রকৃত সুর আধুনিক মানুষের চিত্রণ ও তার প্রতিষ্ঠা, যার সূচনা তাঁরই যোগ্য হাতে I
সব মিলিয়ে বইটি বিদ্যাসাগর ও মাইকেল মধুসুদনের বন্ধুত্ব, ব্যক্তি ও সমাজভাবনা, ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর বাবা, বর্ণপরিচয় এমন নানা দিক থেকে ঈশ্বরচনা বিদ্যাসাগরের জন্মের নার দু’শো বছর পার করে, সামগ্রিক ভালে তাঁকে দেখার প্রেরণা ও প্রচেষ্টা।
Reviews
There are no reviews yet.