Description
প্রায় বছর পঁয়ত্রিশ পর পথচলতি চায়ের দোকানে এক সময়ের দুই হরিহর আত্মা বন্ধুর আবার দেখা। আবার ফিরে পাওয়া। মাঝের বয়ে যাওয়া সময় এক নিমেষে হুশ করে উড়ে গেল। ঠিক যেখানে থেমেছিল একসঙ্গে পথচলা সেখান থেকেই আবার গাঁটছড়া বাঁধল জীবন। যা যা করা হয়নি বা অব্যক্ত থেকে গেছে, সেসব নিয়ে না ভেবে আবার নতুন করে ওরা ছুঁতে চাইল একে অপরকে। সব হারিয়ে যাওয়া রেশমি সুতোগুলো একত্রিত করে আবার বুনতে চাইল জীবনের সুজনিখানি।
প্রকৃতির সান্নিধ্য বন্ধুত্ব গড়েছিল মফস্বল থেকে বড় শহরে পড়াশোনা করতে আসা ছেলেমেয়েগুলোর মধ্যে। ছোটবেলায় গেঁথে যাওয়া প্রকৃতিপ্রেম ওদের মনে অক্ষুণ্ণ। ইট-কাঠ-পাথরের শহরেও ওরা খুঁজে নিয়েছে ওদের অক্সিজেন নেবার জায়গা। বন্ধুত্ব কখনো ওদের কাছে এনেছে কখনো অভিমানে দূরে ঠেলেছে একে অপরকে। সময়ের প্রলেপ আর প্রকৃতির মাতৃত্ব সে সম্পর্কগুলোকে আরো মজবুত করেছে। দূরত্ব আরো দৃঢ় করেছে বন্ধন। ব্যতিক্রমী পথ ওদের প্রকৃতির সঙ্গে সমান্তরাল হাঁটতে অনুপ্রাণিত করেছে।
জয়ব্রত কি পারবে অবিনাশের মনের বন্ধ দরজাটার আগল ভাঙতে? শ্যামলস্যরের দেখানো পথে এগিয়ে চলে ওরা কি পারবে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা নিতে? সুদূর সাইবেরিয়া থেকে ‘উইন্টার’ করতে আসা চুনিকণ্ঠী(সাইবেরিয়ান রুবিথ্রোট) কি সুচিকে জয়ের হাতে হাত রাখতে ভরসা জোগাবে? আগামী প্রজন্মের মনে সবুজ বাঁচানোর নেশা ধরাতে সফল হবে কি ওরা?
Reviews
There are no reviews yet.