Description
মধ্যবিত্তরা ষ্ট্রাগল করে কেন? কেন তারা নিজেদের ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে পারে না? তারা সারা জীবন অর্থের পেছনে দৌড়ায় কিন্তু অনেকেরই সে অর্থে আর অর্থ তাকে ধরা দেয় না।
মধ্যবিত্তরা অর্থবান না হওয়ার মূল কারণ হলো, মধ্যবিত্তের বাবারা ছোটবেলা থেকে তাদের সন্তানদেরকে শুধু পাঠ্যবই পড়তে বলেন, সন্তানদেরকে বুঝান, বাবা মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করো, যাতে বড়ো হয়ে একটা ভালো চাকুরি পাও। তাতে জীবনটা ভালো কাটবে? সুখে থাকতে পারবে।
তারা শুধু তাদের সন্তানদেরকে চাকুরির কথা বলেন। এবং জেনারেল পড়াশোনা করান। তারা কখনোই সন্তানদেরকে অর্থনৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে বলেন না। আরে বাবা, আয় করবা সারা জীবন, কিন্তু পরের হুকুম পালন (চাকুরি) করা ছাড়া আর কোনো আয়ের চিন্তা করবা না। আর অর্থ নিয়ে ভাববে কিন্তু অর্থকে কী করে নিজের করে নিতে হয় তা শিখবে না। তাহলে অর্থ কী তোমার পিছনে দৌড়াবে?
মধ্যবিত্তরা অর্থের পেছনে দৌড়ায় কিন্তু তারা জানে না অর্থকে কী করে নিজের পিছনে দৌড়াতে শেখাতে হয়। আর তার জন্য প্রয়োজন ছোটবেলা থেকেই সাধারণ পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থনৈতিক শিক্ষা লাভ করা। আর অর্থকে নিজের পেছনে দৌড়াতে শিখানো। যেমনটি করেছেন, বিল গেটস, মার্ক জুকার বার্গ, ওয়ারেন বাফেট, স্টিব জবস, জেফ বেজস, মুকেশ আম্বানী, জ্যাক মা, সালমান এফ রহমান, শমসের বিন মুসা, আহমেদ আকবর সোবহানসহ বহু খ্যাতিমান মানুষজন। তারা সবাই অর্থনৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে শিখেছেন। তাদের বাবা মা তাদেরকে চাকুরির কথা বলেননি। তাদেরকে স্বাভলম্বি হতে বলেছেন, শিখিয়েছেন অর্থের দাস না হয়ে কী করে অর্থকে নিজের দাসে পরিণত করতে হয়। তাই আজ তারা না চাইলেও অর্থ এসে তাদের দরজার কড়া নাড়ে। মিনিটে মিনিটে তাদের একাউন্টে অর্থ এসে জড়ো হচ্ছে। তারা আজ নাকে তেল দিয়ে ঘুমালেও তাদের কার্যক্রম বন্ধ হয় না। আর তাই অর্থ এসে তাদের একাউন্টে না চাইলেও ক্রমাগতভাবে জমা হচ্ছে।
ধনি বাবারা তাদের সন্তানকে চাকুরির কথা বলেননি কখনো। তারা পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থনৈতিক শিক্ষা লাভের জন্য সন্তানদের বলে থাকেন। নানা কর্মের মাধ্যমে শিক্ষালাভ করার কথা বলেন। কর্ম ও শিক্ষা লাভ করলেও অর্থ এমনিতেই এসে ধরা দেয়। এটা ধনি বাবারা জানেন।
নিজের জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য ঠিক রেখে সামনে এগুলে কেউ বিফল হয় না। অনেকের জীবনেই প্রকৃত গঠনমূলক লক্ষ্য থাকে না। তারা জানেন না বড়ো হয়ে কী কাজ করবে? চাকুরি করলেও সে চাকুরির বিভাগ থাকে না। তারা অনেকটা মাঝিবিহীন নৈকার মতো মাঝ নদীতে ঘুরে বেড়ায় কিন্তু সঠিক সময়ে তীরে পৌঁছতে পারে না লক্ষ্য ঠিক না রাখার কারণে।
এছাড়াও দরিদ্ররা কাজ করে অনেকটা পেটের দায়ে। তাই সে যে কাজই করে থাকে। সে কাজটা ভালোভাবে শেখা হয় না। আর ভালোভাবে না শেখার কারণে তার অভিজ্ঞতা ভালো হয় না। আর অভিজ্ঞতার জন্য সে ভালো আয় করতে পারে না।
অপরদিকে ধনিরা যে কাজই শিখে তা পেটের দায় না থাকার কারণে মনোযোগ দিয়ে শেখে, আর তাই তার অভিজ্ঞতা ভালো হয়ে থাকে। আর ভালো অভিজ্ঞতার ফলে সে সব জায়গায় কাজ করতে পারে এবং অর্থ এসে ধরা দেয়।
তাই যেই কাজই আমরা শিখি না কেন, তা অর্থের জন্য না শিখে প্রয়োজন অভিজ্ঞতার জন্য শেখা। তাহলে দুটো স্বার্থই হাসিল হবে। কাজও শেখা হবে এবং অর্থও আসবে। শিখুন কী করে অর্থকে নিজের দাসে পরিণত করতে হয়? তবেই আপনার নাম থেকে দরিদ্র ও মধ্যবিত্তের নামটা কাটা যাবে, আপনি হবেন উচ্চবিত্তের মানুষ।
Reviews
There are no reviews yet.