Description
সম্পাদক : অর্ণব নাগ
‘‘এ দূরাশা আমার কোন দিন নেই যে, দেশ একেবারে এক লাফে পুরো স্বাধীন হয়ে যাবে। কিন্তু আমি চাই স্বরাজের একটা সত্যকার ভিত্তি স্থাপন করতে।’’ স্টিমারে বরিশাল যাওয়ার পথে ডেকে বসে কথাগুলি বলেছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র, যিনি রাজনীতিতেও প্রবল আগ্রহী ছিলেন, সেই রাতে সঙ্গী ছিলেন দেশবন্ধু-র। তাঁর প্রয়াণের পর শরৎচন্দ্রের সে ‘স্মৃতিকথা’ প্রকাশিত হয় ‘ভারতবর্ষ’, ১৩৩২-এ— গুরুত্বপূর্ণ রচনাটি ঠাঁই পেয়েছে এই সঙ্কলনে। আছে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী, স্বর্ণকুমারী দেবী, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, ক্ষিতিমোহন সেন রচিত প্রয়াণলেখও। উনিশ শতকের শেষ ও বিশ শতকের গোড়ার সাময়িকপত্র থেকে চয়ন-করা এ-সঙ্কলনের যাবতীয় রচনা প্রয়াণের অব্যবহিতে লেখা, আর প্রয়াত ব্যক্তি ও প্রয়াণলেখ রচয়িতারা প্রত্যেকেই খ্যাতিমান। প্রতিটি রচনার শেষে ব্যক্তি-পরিচিতি, রচনাসূত্র, সময়কাল ইত্যাদি দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি লেখায় উঠে এসেছে সমকালীন দৃষ্টিকোণ, তৎকালীন বঙ্গদেশ ও বাঙালি জীবন, চেনা মানুষের ব্যক্তিজীবনেরও অজানিত নানা উপকরণ। বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র, নবীনচন্দ্র, উপেন্দ্রকিশোর, সজনীকান্ত প্রমুখ যেমন প্রয়াতদের মধ্যে আছেন, তেমনই আবার রবীন্দ্রনাথ বা দ্বিজেন্দ্রলাল আছেন প্রয়াত ও প্রয়াণলেখক— দু’তরফেই। বাঙালির ইতিহাসের এক বিশেষ সময়ের সংস্কৃতি-সমাজ-রাজনীতির পাঠও এতে ধরা রইল। সম্পাদকের মন্তব্য: ‘‘প্রয়াণ-লেখ রচনায় ব্রাহ্মদের অবদান সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য… কেবল শোক-সন্তপ্ত চিত্তের স্মৃতিচারণাই নয়, প্রয়াত ব্যক্তির জীবন ও কর্ম-আলেখ্যও তাতে সমমর্যাদায় ধরা থাকতো।’’
Reviews
There are no reviews yet.