Description
এক একটা বই হাতে নিয়ে মনে হয় আমরা যেন টাইম মেশিনে চড়ে পৌঁছে গেছি সুদূর অতীতে। ‘পলাশীর পূর্বে বাংলার ৫০ বছর’ ঠিক তেমনই একটি বই, যা আমাদেরকে পৌঁছে দেবে এমন এক ইতিহাসের দোরগোড়ায় যে “সময়টা ছিল বাংলার ইতিহাসে ক্রান্তিকাল। উপনিবেশ পূর্ব বাংলা ছিল মুঘলদের কাছে সুবাগুলোর মধ্যে স্বর্গভূমি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পাল্লা বাংলার দিকেই ভারি ছিল। মুর্শিদকুলি থেকে সিরাজ- এই পর্বের নবাবরা চাষি-কারিগর নির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থাকে সুরক্ষা দিয়েছিলেন। পলাশি পরবর্তী কাল আদতে লুঠের কাল অনেক মিথ আর মিথ্যের জাল কাটিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ সময়েকে বিশ্লেষণ করেছেন লেখক।” – আনন্দবাজার পত্রিকা
এ গ্রন্থের লেখক বিশ্বেন্দু নন্দ একজন সংগঠক লেখক এবং গবেষক। তাঁর লেখনী যেমন অনবদ্য তেমনি মন ছুঁয়ে যায় তার উৎসর্গ-এর ভাষাটিও – “এই সভ্যতা কারিগরদের, এই সভ্যতা শুদ্রদের, এই সভ্যতা চাষিদের, এই সভ্যতা পথ- ব্যবসায়ীদের, এই সভ্যতা বৈশ্যদের- সভ্যতা সমগ্র বৈশ্য- শূদ্র- মুসলমান আদিবাসী সমাজের প্রণাম সেই সমাজের অদম্য কারিগর অভিকর শিল্পী এবং তাদের সঙ্গে কাজ করা পরম্পরাভিত্তিক নানান পেশাদারদের, যাঁরা তাদের বাপ, দাদা, মা, দিদিমা, পিসিমার দক্ষতা অবলম্বন করে জ্ঞান, দক্ষতা এবং উদ্ভাবনী শক্তি প্রয়োগ করে চরম জাতি-রাষ্ট্রিক অবহেলা, কর্পোরেট অত্যাচারের মধ্যে প্রজন্মের পর প্রজন্ম জুড়ে বুক দিয়ে আগলে রেখেছেন কারিগরি উৎপাদন ব্যবস্থা আজও এঁদের শিক্ষা আর পথনির্দেশ ছাড়া এই বইটির মৌল উদ্দেশ্য অধরা থেকে যেত।”
Reviews
There are no reviews yet.