Description
“চুপ।” সাধনবাবু নিচু গলায় আশ্বস্ত করেন সারিকাকে।
কিন্তু কেউই আশ্বস্ত হতে পারে না। শব্দটা খুব দ্রুত হতে শুরু করে, যেন দোতলার ঘরগুলোতে কেউ দৌড়ে বেড়াচ্ছে। মৌলীনার মনে হল পায়ের শব্দ যেন সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসছে।
পূরবীও উঠে বসেছিল বিছানায়। হঠাৎ ছাদের দিকে চেয়ে আর্তনাদ করে উঠল সে। হলঘরের উঁচু দেওয়ালের এক কোণে জমে থাকা অন্ধকারে কিছু একটা নড়তে দেখা গেছে। ঠিক একই সময়ে বিষয়টা অনন্যও লক্ষ্য করেছে। সেই দেওয়ালের নিচেই বাবুলালের বিছানা। সে এখনও প্রায় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।
অন্ধকার বেয়ে কিছু একটা নেমে আসছিল। অনন্য বিছানা ছেড়ে লাফিয়ে ওঠে, বাবুলালের তোশক ধরে টানতে যায়। জয়ন্ত বলে, “ওটা ঘরে ঢুকে পড়েছে।”
‘ওটা’ বলতে ঠিক কী বোঝাতে চাইল জয়ন্ত, তা বুঝতে বাকি থাকে না কারও। সাধনবাবু অনন্যকে সাহায্য করতে এগিয়ে যান। বাবুলালের বিছানায় টান পড়তেই সে চোখ মেলে সাধনবাবুকে দ্যাখে। হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে উঠে নিজের মুখের ওপর দুজন মানুষকে ঝুঁকে থাকতে দেখে ভয় পেয়ে যাওয়া স্বাভাবিক, বাবুলালের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয় না। অনন্য কাজটা খুব ধীরে সন্তর্পণে সেরে ফেলতে চাইছিল, কিন্তু বাবুলাল হঠাৎ ধড়ফড় করে বিছানায় উঠে বসতেই সব হিসেব গোলমাল হয়ে গেল যেন।
ছায়াময় অন্ধকার জায়গাটা থেকে তখনও একজোড়া চোখ হলঘরের মেঝের দিকে চেয়ে ছিল।…
#পাতালকোট
প্রকাশক বুকফার্ম
Reviews
There are no reviews yet.