মাথা খারাপ হওয়া বোঝেন? এই বই পড়ে ঠিক তাই হয়েছে। ছয়খানা ডার্ক ফ্যান্টাসি রীতিমতো শিহরন জাগানোর জন্য যথেষ্ট।
সব মিলিয়ে ছটা গল্প- ‘দুটো নখের দাগ’, ‘কিড়া-জড়ি’, ‘নোনা বলি চোরা টান’, ‘পাম্পঘর’ , ‘ইভিল’ ও ‘আয়না বাগান’ ; সবকটা গল্পই বেশ ভালো। সেই অর্থে আলাদা করে খারাপ কোনোটাই লাগেনি। সৈকত মুখোপাধ্যায়ের লেখার সঙ্গে যাঁরা পরিচিত তাঁরা লেখকের শক্তিশালী লেখনী সম্পর্কে অবগত। টানটান মেদহীন লেখা, যেন শাণিত ছুরির ফলা। লেখার টান এতোই মোহময়ী যে পড়তে শুরু করলে শেষ না করে থামা অসম্ভব।
গল্পগুলোর দুটো সত্ত্বা আছে। একটা দিক যেমন ফ্যান্টাসিকে তুলে এনেছে, অন্যদিকে একই ঘটনাগুলোকে বাস্তবের পরিপ্রেক্ষিতেও দেখানো হয়েছে। এরফলে একটা যেটা সমস্যা হয়েছে, সেটা হল প্রায় প্রত্যেক গল্পেই একজন করে অপ্রকৃতিস্থ চরিত্রের আগমন ঘটাতে হয়েছে এবং ফ্যান্টাসিগুলো মূলত তাদের চোখ দিয়েই দেখানো হয়েছে। এটা সব গল্পে না করলেও বোধহয় ভালোই হত।
তবে এই সব কিছুকে অস্বীকার করে যদি শুধু খোলা মনে গল্পগুলো পড়ে ফেলা যায়, তাহলে পাঠক এক অনবদ্য অভিজ্ঞতা লাভ করবে। যত গল্প এগোতে থাকে তত যেন গল্পের রঙ ফ্যাকাসে থেকে ধূসর, ধূসর থেকে ছাই হয়ে কালো আরও কালো হয়ে ওঠে। একই সাথে আসতে থাকে একের পর এক প্লট টুইস্ট।
বইয়ের মুখবন্ধে অনীশ দেবও স্বীকার করেছেন, সৈকতবাবুই এই মুহূর্তে ‘অন্ধকার সাহিত্য’-এ সেরা।
বইয়ের খারাপ কী লেগেছে? মুখবন্ধে দুটো মুদ্রণ প্রমাদ আর অতি রদ্দিমার্কা নাইন্টিজের ‘সেই’ ভূতের সিনেমাগুলোর পোস্টারের মতো একখানা প্রচ্ছদ। প্রচ্ছদ শিল্পীর আরও অনেক কাজের সাথে পরিচিত বলেই এই কথাটা আরও জোরে দিয়ে বলতে পারি, এটা হয়ত প্রচ্ছদ শিল্পীর ঠিক ‘ভালো’ কাজ বলা যায় না।
সবশেষে ‘অন্ধকারের সম্রাট’ কিলবিসকে থুড়ি সৈকত মুখোপাধ্যায়কে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত ভালো ছটা অন্ধকারের গল্প পাঠকদের উপহার দেওয়া জন্য। এই বই না পড়লে অনেক কিছু মিস।
Boimela dot in (boimela.in) is the oldest initiative of an online Bengali books store, dedicated for Bengali books. People live out of West Bengal and miss Bengali books, wants to buy Bengali books online, boimela.in is the solution for those Bengali people. Mr Subrata Kundu started this portal in 2010 just to help people avail the facility to order a Bengali book which brings some happiness. We are trying to list all books which will release in Kolkata Book Fair 2021.
Kaushik Roy –
মাথা খারাপ হওয়া বোঝেন? এই বই পড়ে ঠিক তাই হয়েছে। ছয়খানা ডার্ক ফ্যান্টাসি রীতিমতো শিহরন জাগানোর জন্য যথেষ্ট।
সব মিলিয়ে ছটা গল্প- ‘দুটো নখের দাগ’, ‘কিড়া-জড়ি’, ‘নোনা বলি চোরা টান’, ‘পাম্পঘর’ , ‘ইভিল’ ও ‘আয়না বাগান’ ; সবকটা গল্পই বেশ ভালো। সেই অর্থে আলাদা করে খারাপ কোনোটাই লাগেনি। সৈকত মুখোপাধ্যায়ের লেখার সঙ্গে যাঁরা পরিচিত তাঁরা লেখকের শক্তিশালী লেখনী সম্পর্কে অবগত। টানটান মেদহীন লেখা, যেন শাণিত ছুরির ফলা। লেখার টান এতোই মোহময়ী যে পড়তে শুরু করলে শেষ না করে থামা অসম্ভব।
গল্পগুলোর দুটো সত্ত্বা আছে। একটা দিক যেমন ফ্যান্টাসিকে তুলে এনেছে, অন্যদিকে একই ঘটনাগুলোকে বাস্তবের পরিপ্রেক্ষিতেও দেখানো হয়েছে। এরফলে একটা যেটা সমস্যা হয়েছে, সেটা হল প্রায় প্রত্যেক গল্পেই একজন করে অপ্রকৃতিস্থ চরিত্রের আগমন ঘটাতে হয়েছে এবং ফ্যান্টাসিগুলো মূলত তাদের চোখ দিয়েই দেখানো হয়েছে। এটা সব গল্পে না করলেও বোধহয় ভালোই হত।
তবে এই সব কিছুকে অস্বীকার করে যদি শুধু খোলা মনে গল্পগুলো পড়ে ফেলা যায়, তাহলে পাঠক এক অনবদ্য অভিজ্ঞতা লাভ করবে। যত গল্প এগোতে থাকে তত যেন গল্পের রঙ ফ্যাকাসে থেকে ধূসর, ধূসর থেকে ছাই হয়ে কালো আরও কালো হয়ে ওঠে। একই সাথে আসতে থাকে একের পর এক প্লট টুইস্ট।
বইয়ের মুখবন্ধে অনীশ দেবও স্বীকার করেছেন, সৈকতবাবুই এই মুহূর্তে ‘অন্ধকার সাহিত্য’-এ সেরা।
বইয়ের খারাপ কী লেগেছে? মুখবন্ধে দুটো মুদ্রণ প্রমাদ আর অতি রদ্দিমার্কা নাইন্টিজের ‘সেই’ ভূতের সিনেমাগুলোর পোস্টারের মতো একখানা প্রচ্ছদ। প্রচ্ছদ শিল্পীর আরও অনেক কাজের সাথে পরিচিত বলেই এই কথাটা আরও জোরে দিয়ে বলতে পারি, এটা হয়ত প্রচ্ছদ শিল্পীর ঠিক ‘ভালো’ কাজ বলা যায় না।
সবশেষে ‘অন্ধকারের সম্রাট’ কিলবিসকে থুড়ি সৈকত মুখোপাধ্যায়কে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত ভালো ছটা অন্ধকারের গল্প পাঠকদের উপহার দেওয়া জন্য। এই বই না পড়লে অনেক কিছু মিস।