Description
‘নিশি’ এমন এক থ্রিলার, যাকে শুধুমাত্র ‘পিরিয়ড থ্রিলার’ না বলে ‘উপন্যাসধর্মী সিনেমাটিক পিরিয়ড থ্রিলার’ বলাই বোধহয় যথাযথ হয়; কারণ এই থ্রিলারের সময়ের বিস্তৃতি ১৮৫৫ সাল থেকে ১৯৬৫ সাল। তাই অবধারিত ভাবে এতে দেখা মেলে নানান ঐতিহাসিক চরিত্র; যেমন মুকুন্দদাস, স্বামী বিবেকানন্দ, বর্ধমানের মহারাজা, অম্বিকাচরণ মুখোপাধ্যায়, গোপাল পাঁঠা, গান্ধীজি আর আরও অনেকের, যাদের পাঠকেরা অনেকেই হয়তো চেনেন বা হয়তো চেনেন না।
কিন্তু সময়কালের এই বিস্তৃত পরিধির মাঝের সময়টা ছিল বড়োই টালমাটাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তখন কাহিল গোটা বিশ্ব আর সেইসঙ্গে আমাদের দেশও। যুদ্ধের পিশাচ দেশের সমাজ আর অর্থনীতির টুঁটি চিপে রেখেছে। শহর আর শহরতলীতেও ছড়িয়ে পড়েছে যুদ্ধের নিদারুণ তাপ। গান পাউডারের গন্ধ বিষিয়ে দিচ্ছে মানুষের মনও। দেশের রাজনীতিও সুযোগ নিচ্ছে সেই দুর্বল সময়ের। কলকাতার একদিকে আছড়ে পড়ছে জাপানী বোমা আর অন্যদিকে শকুনে ছিঁড়ে খাচ্ছে দুর্ভিক্ষের আর দাঙ্গার উচ্ছিষ্ট। সেইসময়ের একদিকে রয়েছে নিখাদ দেশপ্রেম আর অন্যদিকে স্বদেশী আন্দোলনের নামাবলীর তলায় তলায় চলছে এক আন্তর্জাতিক অন্ধকার পাচারচক্রের জগৎ। সেই টালমাটাল সময়ে তাই পরিস্থিতির পাকেচক্রে পড়ে এই কাহিনীর নায়ক ক্রমে হয়ে ওঠে একজন নির্মম ‘সিরিয়াল কিলার’। বাধ্য হয়েই সে করে চলে একের পর এক খুন। আঁধারে মিশে গিয়ে সে মুছে দিতে চায় ঐ অন্ধকার জগতের একটা অংশকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ তার এই রহস্যময় আর অভিনব পন্থায় নৃশংসতার জন্যেই সে পরিচিত হয়ে যায় এক নামে; আর সেই নাম হলো- ‘নিশি’।
তবে কি শুধুই খুন আর বিশৃঙ্খলা?… না। এতে আছে ঠগীদের নৃশংসতা, নদীচরের ‘আলেয়া ভূত’, অম্বিকাচরণের স্টান্ট আর আরও নানান রহস্য-রোমাঞ্চ। রয়েছে গ্রেট ক্যালকয়াটা কিলিং এর গা শিউরে ওঠা নিখুঁত বর্ণনা, কলকাতার বার-পাব কালচার আর একাধিক রবীন্দ্রনাথের গানের মূল উৎস। সেইসঙ্গে উপরি পাওনা সহজ সরল বাক্যবিন্যাসে স্নিগ্ধ সাহিত্যরসও।
Reviews
There are no reviews yet.