Description
১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চন্দ্রকুমার দে মহাশয় কর্তৃক সংগৃহীত মোট একুশটি গীতিকার পালার মধ্য থেকে দশটি পালা— মহুয়া , মলুয়া , চন্দ্রাবতী , কমলা , দেওয়ান ভাবনা , দস্যু কেনারাম পালা , রূপবতী , কঙ্ক ও লীলা , কাজলরেখা ও দেওয়ানা মদিনা নির্বাচন করে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে ‘ Eastern Bengal Ballads – Mymensingh ( Vol . I , Part – I , 1923 ) নামে তাঁর সম্পাদনা গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশ করেন। তিনি এই ইংরেজি সম্পাদনা গ্রন্থে ইংরেজিতে লেখা ভূমিকা এবং দশটি পালার গদ্যানুবাদ সংযুক্ত করেন। পরে তিনি একই বছর তাঁর বাংলা সম্পাদনা গ্রন্থে নির্বাচিত দশটি পালা অপরিবর্তিত রাখেন , ইংরেজি ভূমিকা বাংলায় রূপান্তর করেন এবং ইংরেজি সম্পাদনার পালার গদ্যানুবাদ অংশ বাদ দেন।
আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন সম্পাদিত ‘ মৈমনসিংহ – গীতিকা ’ গ্রন্থের পালাগুলির কাব্যমূল্য অপরিসীম । মধ্যযুগে দেবতার মাহাত্ম্যগাথা নির্ভর কাব্যধারায় এই গীতিকাব্য সম্পূর্ণ ভিন্নপথী। এই কাব্যধারার মূল আধেয় বস্তু নরনারীর প্রেম। প্রেমের কারণে কাব্যের নায়িকাগণের ত্যাগ , তিতিক্ষা , দুঃখবেদনা ও আত্মবিসর্জনের করুণ চিত্র গীতিকাগুলির প্রাণসম্পদ। মৌখিক রীতির এই সাহিত্যধারায় কবিগণ সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধির ঊর্দ্ধে উঠে কাহিনি নির্বাচন করে মানবহৃদয়বৃত্তির যে অপূর্ব চিত্র এঁকেছেন তা বাংলা দেশের বিভিন্ন পন্ডিতব্যক্তি , এমনকি স্বয়ং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রশংসালাভে ধন্য হয়েছে।
Reviews
There are no reviews yet.