Description
মানব সভ্যতার প্রায় আদি মানুষ মৃৎশিল্পীরা। তারা কোথায় না ছিলেন। সেই সুদূর হরপ্পা – মহেঞ্জোদারােয় , চিনে – মিশরে – মায়া মেসােপটেমিয়ায়। পুরাণে মহাভারতে। গরম থানে বড়াম থানে মাটির হাতিঘােড়ায়। ভঁড়ে – প্রদীপে – ঘটে – মঙ্গল কলসে। ছিলেন মাটির মৃদঙ্গে , গানে গম্ভীরায় , এমনই এক কুম্ভকার গ্রামসমাজকে কেন্দ্র করে লেখা কথাকার নলিনী বেরার ‘ মাটির মৃদঙ্গ।
ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার সুদূর মুরুড়া থেকে দাদার মােটর বাইকে চড়ে সুন্দরী পাত্রী এসেছে বাংলার এক অখ্যাত গ্রামে পাত্র দেখতে। গ্রামে পা দিয়েই সে ঘােষণা করেছে , “ ভাই , আমে যে – মনিষকু বাহা হেবি সে হেব তুমর পরি ভল – অ ও সুন্দর – অ । ” অর্থাৎ আমি যাকে বিয়ে করব সে হবে তােমার মতােই ভালাে ও সুন্দর। … দাদা – সােহাগি মেয়ের এহেন ঘােষণা নিস্তরঙ্গ গ্রামটায় রীতিমতাে তরঙ্গ তুলে দিল ! এই তরঙ্গে আলােড়িত হয়েছে । বাংলা – ঝাড়খণ্ড – ওড়িশার কুম্ভকার সমাজ ! রচিত হয়েছে একই অঙ্গে ধ্রুপদি ও আধুনিক এক বিরল উপাখ্যান।
Reviews
There are no reviews yet.