Description
উপন্যাসের নায়িকা কুহেলী বর্মন একজন প্রথিতযশা অভিনেত্রী। নিজের রূপ, লাস্য প্রদর্শনের পাশাপাশি অভিনয় দক্ষতায় সে ধীরে ধীরে নিজের পায়ের তলার জমি শক্ত করেছে টলিপাড়ায়। নিজের কেরিয়ার নিয়ে এখন ভীষণ ব্যস্ত সে। তার কাছে এখন একাধিক কাজের প্রস্তাব। কিন্তু আচমকা একদিন ছন্দপতন ঘটে। কেরিয়ারের মধ্যগগনে থাকাকালীন কুহেলী একদিন খুন হয়। সাথে রেখে যায় একাধিক প্রশ্ন। কে খুন করল কুহেলীকে? কারণটা কী? খুনি কি কুহেলীর পরিচিত?
এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে উপন্যাসের সময়কাল পিছিয়ে যায় বেশ কয়েকবছর আগে। মফস্বলের নিম্ন-মধ্যবিত্ত ঘরের কিশোরী মেয়ে কুহু। অভাব অনটন দারিদ্র্য নিয়েই সংসার তার। বাড়িতে দীর্ঘদিন রোগে ভোগা শয্যাশায়ী মা ইন্দু বর্মন, বাজারে একটা কাপড়ের দোকানে কর্মরত বাবা সজল বর্মনের একমাত্র কন্যা কুহু সময়ের আগেই পরিণত মানুষের মতো সংসারের হাল ধরেছিল। শৈশবে কলমের সাথে তুলে নিয়েছিল হাতা-খুন্তিও। স্বপ্ন দেখেছিল মা একদিন সুস্থ হবেই। কিন্তু ঘটনাক্রম এমন দিকে মোড় নেয় যে কুহুর স্বাভাবিক জীবন থমকে গিয়ে তাকে শোকে ও ঘৃণায় বিহ্বল করে দেয়। কুহুর সব আশা,স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যায়।
এমন একটি পরিবার থেকে উঠে কিভাবে কুহেলী বর্মন হয়ে উঠলো চিত্রনায়িকা? কিভাবে জায়গা করে নিলো লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের আবহে মোড়া রুপোলী পর্দায় সাজানো কলাকুশলীদের ঝলমলে জগতে? এই জগৎ সত্যিই এতটাই সুন্দর, এতটাই গ্ল্যামার, যতটা দর্শক পর্দায় দেখতে পান? রগরগে সংলাপ, দৃষ্টিনন্দন দৃশ্যপট, চোখধাঁধানো জায়গা, শ্রবণমধুর আবহসঙ্গীত, নাচে-গানে ভরপুর ও কলাকুশলীদের ভীষণরকম বাস্তবসম্মত অভিনয়ে ভরা এই জগত নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। তাই হয়তো আজও সিনেমাহলে পর্দাজুড়ে দাপিয়ে বেড়ানো মানুষগুলোকে নিয়ে মানুষের উৎসাহ দেখার মতোই হয়। পর্দায় নায়কের আবির্ভাব ঘটলে বা নায়িকার আগমন ঘটলে দর্শকদের উন্মাদনায় মুখর হয়ে ওঠে প্রতিটা প্রেক্ষাগৃহ। কিন্তু প্রতিটা ক্ষেত্রের মতো এই চলচ্চিত্রের ঝলমলে জগতেরও অনেক অন্ধকার দিক আছে। ঠিক যেন প্রদীপের নিচে অন্ধকার! যেখানে টিকে থাকতে গেলে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যেতে হয় সকলকেই। কারণ শুধুমাত্র অভিনয়ের জোরে এই জগতে একজন নবাগতার টিকে থাকা অসম্ভব, যার মাথায় হাত রাখার মতো কোনো অভিভাবক গোটা ইন্ডাস্ট্রিতে নেই। অভিনয়ের সাথে সাথে নিজেকেও ঘষে-মেজে ঝকঝকে তলোয়ারের মতো রাখতে হবে। আলগা প্রসাধনে দেহের ক্ষত আড়াল করে, সুদৃশ্য পোশাকে মুড়ে নিজেকে ক্যামেরার সামনে হাজির হতে হবে। নয়তো আজ যাকে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাচ্ছে, মাস কয়েক পরে তাকেই পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে। যেকোনো মূল্যে প্রযোজকের নয়নের মণি হতে হবে। অন্যথায় ক্রমশ এই জগত থেকে কর্পূরের মতো উবে যেতে হবে। নিজের জায়গা রক্ষার জন্য প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যেতে হয় একজন নায়িকাকে। তা সেই নবাগতাই হোক বা প্রতিষ্ঠিত। এই সংগ্রাম যারা আমৃত্যু চালিয়ে যেতে পারে, তারাই টিকে যায় সিনে জগতে। আর যারা পারে না তার হারিয়ে যায় অন্ধকারে। এই সংগ্রাম চলাকালীন একটা কথাই মাথায় থাকে উপন্যাসের নায়িকার। “যে কোনো মূল্যেই হোক না কেন আমিই নায়িকা থাকবো। আমাকে থাকতে হবেই!” কারণ “Once a Heroine, always a Heroine!” এরকমই এক নারীর উত্থানের আখ্যান নিয়ে এই উপন্যাস, ‘কুহেলিকায় রাত্রিযাপন’।
উপন্যাসের নায়িকা কুহেলী বর্মন একজন প্রথিতযশা অভিনেত্রী। নিজের রূপ, লাস্য প্রদর্শনের পাশাপাশি অভিনয় দক্ষতায় সে ধীরে ধীরে নিজের পায়ের তলার জমি শক্ত করেছে টলিপাড়ায়। নিজের কেরিয়ার নিয়ে এখন ভীষণ ব্যস্ত সে। তার কাছে এখন একাধিক কাজের প্রস্তাব। কিন্তু আচমকা একদিন ছন্দপতন ঘটে। কেরিয়ারের মধ্যগগনে থাকাকালীন কুহেলী একদিন খুন হয়। সাথে রেখে যায় একাধিক প্রশ্ন। কে খুন করল কুহেলীকে? কারণটা কী? খুনি কি কুহেলীর পরিচিত?
এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে উপন্যাসের সময়কাল পিছিয়ে যায় বেশ কয়েকবছর আগে। মফস্বলের নিম্ন-মধ্যবিত্ত ঘরের কিশোরী মেয়ে কুহু। অভাব অনটন দারিদ্র্য নিয়েই সংসার তার। বাড়িতে দীর্ঘদিন রোগে ভোগা শয্যাশায়ী মা ইন্দু বর্মন, বাজারে একটা কাপড়ের দোকানে কর্মরত বাবা সজল বর্মনের একমাত্র কন্যা কুহু সময়ের আগেই পরিণত মানুষের মতো সংসারের হাল ধরেছিল। শৈশবে কলমের সাথে তুলে নিয়েছিল হাতা-খুন্তিও। স্বপ্ন দেখেছিল মা একদিন সুস্থ হবেই। কিন্তু ঘটনাক্রম এমন দিকে মোড় নেয় যে কুহুর স্বাভাবিক জীবন থমকে গিয়ে তাকে শোকে ও ঘৃণায় বিহ্বল করে দেয়। কুহুর সব আশা,স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যায়।
এমন একটি পরিবার থেকে উঠে কিভাবে কুহেলী বর্মন হয়ে উঠলো চিত্রনায়িকা? কিভাবে জায়গা করে নিলো লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের আবহে মোড়া রুপোলী পর্দায় সাজানো কলাকুশলীদের ঝলমলে জগতে? এই জগৎ সত্যিই এতটাই সুন্দর, এতটাই গ্ল্যামার, যতটা দর্শক পর্দায় দেখতে পান? রগরগে সংলাপ, দৃষ্টিনন্দন দৃশ্যপট, চোখধাঁধানো জায়গা, শ্রবণমধুর আবহসঙ্গীত, নাচে-গানে ভরপুর ও কলাকুশলীদের ভীষণরকম বাস্তবসম্মত অভিনয়ে ভরা এই জগত নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। তাই হয়তো আজও সিনেমাহলে পর্দাজুড়ে দাপিয়ে বেড়ানো মানুষগুলোকে নিয়ে মানুষের উৎসাহ দেখার মতোই হয়। পর্দায় নায়কের আবির্ভাব ঘটলে বা নায়িকার আগমন ঘটলে দর্শকদের উন্মাদনায় মুখর হয়ে ওঠে প্রতিটা প্রেক্ষাগৃহ। কিন্তু প্রতিটা ক্ষেত্রের মতো এই চলচ্চিত্রের ঝলমলে জগতেরও অনেক অন্ধকার দিক আছে। ঠিক যেন প্রদীপের নিচে অন্ধকার! যেখানে টিকে থাকতে গেলে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যেতে হয় সকলকেই। কারণ শুধুমাত্র অভিনয়ের জোরে এই জগতে একজন নবাগতার টিকে থাকা অসম্ভব, যার মাথায় হাত রাখার মতো কোনো অভিভাবক গোটা ইন্ডাস্ট্রিতে নেই। অভিনয়ের সাথে সাথে নিজেকেও ঘষে-মেজে ঝকঝকে তলোয়ারের মতো রাখতে হবে। আলগা প্রসাধনে দেহের ক্ষত আড়াল করে, সুদৃশ্য পোশাকে মুড়ে নিজেকে ক্যামেরার সামনে হাজির হতে হবে। নয়তো আজ যাকে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাচ্ছে, মাস কয়েক পরে তাকেই পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে। যেকোনো মূল্যে প্রযোজকের নয়নের মণি হতে হবে। অন্যথায় ক্রমশ এই জগত থেকে কর্পূরের মতো উবে যেতে হবে। নিজের জায়গা রক্ষার জন্য প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যেতে হয় একজন নায়িকাকে। তা সেই নবাগতাই হোক বা প্রতিষ্ঠিত। এই সংগ্রাম যারা আমৃত্যু চালিয়ে যেতে পারে, তারাই টিকে যায় সিনে জগতে। আর যারা পারে না তার হারিয়ে যায় অন্ধকারে। এই সংগ্রাম চলাকালীন একটা কথাই মাথায় থাকে উপন্যাসের নায়িকার। “যে কোনো মূল্যেই হোক না কেন আমিই নায়িকা থাকবো। আমাকে থাকতে হবেই!” কারণ “Once a Heroine, always a Heroine!” এরকমই এক নারীর উত্থানের আখ্যান নিয়ে এই উপন্যাস, ‘কুহেলিকায় রাত্রিযাপন’।
Reviews
There are no reviews yet.